ঝুমারউইন মহকুমার বাকরোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝাসু গ্রামের কৃষক মাঠ ছাড়াই অর্থকরী ফসল চাষ করছেন। মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচ করে হাইড্রোপনিক প্রযুক্তিতে সবজি চাষ শুরু করেছেন বিক্রম চন্দেল। অন্যান্য কৃষকদের এই কৌশল শেখানো, বিক্রম হাইড্রোপনিক প্রযুক্তিতে তার বাড়িতে ধনে, পুদিনা, পুদিনা, শাক, পালং শাক, মটর, ফুলকপি, ব্রকলি, বাঁধাকপি, বেগুন, টমেটো, শসা চাষ করেছেন।
দুবাই ও আফ্রিকায় গিয়েছিলেন একটা কোম্পানির কাজে, সেখানে শুনলেন মাটি ছাড়া চাষের কথা, তারপর থেকে তিনি হাইড্রোপনিক চাষ সম্পর্কে উৎসাহিত হন। তিনি এই চাষকে কাছ থেকে বুঝতে পেরেছেন এবং এখন সফলভাবে এটি তার বাড়িতে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেছেন। এই প্রযুক্তিতে উচ্চ মানের বীজ ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ তেঁতুল গাছের চাষ পদ্ধতি
বিক্রম জানান, কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করলে অন্য কৃষকদেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে উৎসাহিত করা যাবে। বিক্রম চন্দেল বাজারে ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে পোস্টার বিতরণ করে এই চাষের প্রচার করছেন। এই কৌশলটি কৃষককে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকেও বাঁচায়। নিড়ানি, আগাছার মতো আগাছাও বিপদ থেকে রক্ষা পায়।
হাইড্রোপনিক (Hydroponic) একটি অত্যাধুনিক কৃষি পদ্ধতি। বর্তমানে জৈব চাষের রমরমার সময়ে মাটি ছাড়াই যা হয়ে উঠছে ভবিষ্যতের দিশারী। অতি লাভজনক ফসলের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাটির পরিবর্তে জলে গাছের প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করে ফসল ফলানো যায়। ইতিমধ্যেই এই পদ্ধতিতে চাষ শুরু হয়েছে বাংলার পূর্ব মেদিনীপুরে (West Medinipur)।
আরও পড়ুনঃ বীজ থেকে লাউ জন্মানোর সহজ উপায়, রইল বিস্তারিত
আমেরিকা, জাপান, তাইওয়ান, চিন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার মতো দেশে বাণিজ্যিকভাবে মাটি ছাড়াই চাষের মাধ্যমে এভাবেই সবজি ও ফল উৎপাদন হচ্ছে। এই চাষে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সারা বছরই চাষ করা যায় এবং উৎপাদিত ফসলে কোনও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। অনুর্বর এবং উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকার জায়গায় নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে যেমন এই পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করা যাবে তেমনি ঝাঁ চকচকে শহরের বদ্ধ জায়গায় উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন করে লাভবান হওয়াও সম্ভব।