ছয় ঋতুর দেশ হিসাবে পরিচিত আমাদের এই ভারতবর্ষ। ঋতু বৈচিত্রের কারনে এ দেশের মাটিতে ফলে নানা রকম ফল ও সবজি। আর আমাদের দেশের কৃষির মৌসুম তিনটি- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি।
উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রামে উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে হেক্টর প্রতি ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা,চিন্তার ভাঁজ চাষিদের কপালে
কৃষকরা নিজস্ব চিন্তা ধারা, চাহিদা ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে নিজের মতো প্রতিদিনের কাজগুলোকে সাজিয়ে নেন এবং অচিরেই বাস্তবে রূপ দেন।
বৈশাখ মাস (মধ্য এপ্রিল-মধ্য মে): বৈশাখ মাসে লালশাক, ডাঁটা, পাটশাক, বেগুন, লঙ্কা, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপনের জন্য় উত্তম সময়। এর সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারাও রোপণ করা যায়। এই সময় চাষীদের মিষ্টিকুমড়ো , করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়ো, শসার মাচা, তৈরি করতে হবে । কুমড়া জাতীয় সবজির চাষ করলে পোকা মাকড় দমনের প্রতি বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে । খরিফ-১ মৌসুমের সবজির বীজবপন, চারা রোপণ করতে হবে। বৈশাখ মাস ডাঁটা, পুঁইশাক, লালশাক, বরবটি ফসল সংগ্রহ করার উপযুক্ত সময়। খরিফ-২ সবজির বেড ও চারা তৈরি করতে হবে। কচি শজিনা, তরমুজ, বাঙ্গি সংগ্রহ করতে হবে। ফল চাষের স্থান নির্বাচন, উন্নতজাতের ফলের চারা বা কলম সংগ্রহ, পুরনো ফলগাছে সুষম সার প্রয়োগ ও ফলন্ত গাছে সেচ প্রদান এই মাসে করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মান ভাল হলেও পেঁয়াজ নিয়ে হতাশয় দিন কাটছে রাজ্য়ের চাষিদের
জ্যৈষ্ঠ (মধ্য মে-মধ্য জুন): আগে বীজতলায় বপনকৃত খরিফ-২ এর সবজির চারা রোপণ, সেচ ও সার প্রয়োগ ও পরিচর্যা করতে হবে। শজিনা সংগ্রহ করতে হবে এবং গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চারা রোপণ ও পরিচর্যা করতে হবে। ঝিঙা, চিচিংগা, ধুন্দুল, পটল, কাঁকরোল সংগ্রহ ও পোকামাকড় দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে। নাবীকুমড়া জাতীয় ফসলের মাচা তৈরি, সেচ ও সার প্রয়োগ করতে হবে। ফলের চারা রোপণের গর্ত প্রস্তুত ও বয়স্ক ফল গাছে সুষম সার প্রয়োগ, ফলন্ত গাছের ফল সংগ্রহ এবং বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করতে হবে।