ব্যাকটেরিয়া এখন লাভের নতুন দিশা হয়ে উঠেছে। আয়ের পরিমাণ বাড়াতে একাধিক উপায়ের সাহায্য নিচ্ছে এখন দেশের জনগণ। আর তাতেই উঠে আসছে নতুন নতুন ভাবনা। আয়ের এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে সুন্দরবনবাসীরা।
শিরিষ গাছের হাত ধরে এখন আয়ের নতুন পথ খুঁজে বার করেছে মিনাখাঁ, সন্দেশখালির বাসিন্দারা। সকাল সকাল উঠে গ্রামের এক অংশ ছুটছে ব্যাকটেরিয়ার সন্ধানে। আপাতত শিরিষ গাছ এখন লক্ষ্মী লাভের অন্যতম পন্থা। শিরিষ গাছের ব্যাকটেরিয়া সংগ্রহ করে আয়ের নতুন দিশা হয়ে উঠেছে। এই ব্যাকটেরিয়া শুধু শিরিষ গাছে নয় বাবলা, অর্জুন, ইত্যাদি গাছেও পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ Cockroach Farming: সোনার চেয়েও দামি! আরশোলা পালন একটি লাভজনক চুক্তি
অনেক সময় বিভিন্ন গাছের ডালে ছত্রাক আক্রমণ হয়। এই ছত্রাক আক্রান্ত ডালের সাদা তুলোর মত প্রলেপ পড়ে যায়। এই তুলোর মত প্রলেপ রঞ্জন বা রেসিনে রুপান্তরিত হয়। এই আঠা সংগ্রহ করছে এই অঞ্চলের বসিন্দারা। এই ডাল গুলি ভেঙ্গে বাড়ি নিয়ে আসা হচ্ছে। বাড়ির মেয়েরা এই ছত্রাক থেকে উচ্ছিষ্ট বার করে বস্তার মধ্যে রাখছে। তারপর বস্তা বন্দি এই মূল্যবান জিনিস পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য।
আরও পড়ুনঃ ভারতের সবচেয়ে দামি ৪টি মহিষ! দাম কয়েক কোটি
এই ছত্রাক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। জি ২৪ ঘণ্টা সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুসারে এই ছত্রাক মিনাখাঁর দেউলি নামক একটি এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এই ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন রং এবং আসবাবপত্র তৈরির কাজে ব্যবহিত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সুন্দরবনে বন্য মধু সংগ্রহকারীদের জন্যও ব্যাপক সুবিধা আনছে সরকার। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দাম। বর্তমানে মধু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। যেখানে আগে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হত বন্য মধু।