ভারতে সবচেয়ে প্রচলিত দুটি খাবারের মধ্যে একটি হল ভাত এবং অপরটি হল রুটি। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই দেশে ফলনের দিকে উৎপাদনের হার সবচেয়ে বেশি ধান এবং গমে। উদ্যান ফসল এবং অন্যান্য ফসল চাষ করলেও আমাদের দেশের বেশিরভাগ কৃষক ধান চাষের সঙ্গে যুক্ত। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর সহ প্রায় সমস্ত রাজ্যেই কম বেশি ধান চাষ হয়ে থাকে।
বর্তমানে চাষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান হল জল। আবহাওয়ার খামখেয়ালি পনায় বৃষ্টির আকাল প্রায় সব রাজ্যেই। তাই কৃষকরা পড়ছেন মুশকিলে। নিউজ ওয়েবসাইট গাঁও সংযোগ এবং টিভি নাইন হিন্দির রিপোর্ট অনুযায়ী কিছু বাসমতী চালের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যেগুলি চাষের ক্ষেত্রে কম জলের প্রয়োজন হয়। এই জাতের ধান সরাসরি বপন করা যায়। কম জলেও এই ফলন হয় বাম্পার। এই বিষয়ে আইএআরআই এর পরিচালক ডঃ অশোক কুমার সিং কিছু বাসমতি ধানের জাতের সন্ধান দেন। তিনি উল্লেখ করেন পুসা বাসমতি ১৬৯২, পুসা বাসমতি ১৫০৯ এবং পুসা বাসমতি ১৮৪৭ এই ধানের জাতের নাম। এই ধান চাষের ক্ষেত্রে জলের প্রয়োজন কম হবে। পাশাপাশি এর থেকে কৃষকরা ভালো আয় করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ আমেরিকান রেস্তোরাঁয় 'মোদি জি থালি', প্রকাশ্যে এল তাঁর ঝলক
বিশেষজ্ঞদের মতে এই জাতের ধানগুলি চাষ করার ক্ষেত্রে অনেক কম সময় লাগে। পাশাপাশি এই ধানের জাতগুলি ঝলসে যাওয়া বা ব্লাস্ট দ্বারা আক্রান্ত হয়না। ফলে কৃষকদের যেমন জল নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হয়না ঠিক সেইভাবেই কীটনাশকের প্রয়োজন বেশি পড়েনা। ফলে জল এবং কীটনাশকের খরচের সাশ্রয় এই দুই সুবিধায় পাবেন কৃষকরা। ধানের এই জাতগুলির পাকতে সময় লাগে ১২০ থেকে ১৪৫ দিন। পুসা বাসমতি ১৮৮৬ চালের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। এই ধানের বীজ পাওয়ার জন্য আপনার স্থানীয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন। পাশাপাশি ফ্লিপকারট, অ্যামাজন এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গুলিতেও পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ Amazon Kisan: কৃষির স্বার্থে চুক্তি স্বাক্ষর করল ICAR এবং Amazon