'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার
Updated on: 30 August, 2021 11:29 PM IST
Beetroot Cultivation (Image Credit - Google)

ভিটামিন, জিঙ্ক, আয়োডিন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, সোডিয়াম-সহ নানা পরিপোষক পদার্থে ভরপুর হল বীট (Beetroot Farming)। মূলোজাতীয় সবজি হিসাবে বীট আমাদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। এই উদ্ভিজ্জ ফসল রোপণের জন্য বাগানকে সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে, বাড়িতে যদি সামান্য জায়গা থাকে কিংবা টবের মধ্যে (Terrace Farming) খুব সহজেই চাষ করতে পারেন এই শীতকালীন সবজি।

উপকারিতা (Benefits) : 

ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া, উচ্চরক্তচাপ, থাইরয়েডের মতো নানা অসুখ নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী সবজি হল বীট। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলতে গেলে মাত্র একটি। তা হল বীট খেলে প্রসাবের রং লাল হয়। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

জেনে নিন বিটের গুণাগুণ -

১. রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক করে: বিটে রয়েছে অতিমাত্রায় নাইট্রেটস। মুখে থাকা ব্যক্টেরিয়ার সংস্পর্শে এসে এই নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে।

২. লিভার ডিটক্সিফাই করে: ফাস্টফুড, স্পাইসিতে অভ্যস্ত জীবনে এমনিতেই লিভারের অবস্থা সঙ্গিন। বিটের জুসে থাকা বেটাইন নামে এক উপাদান কিন্তু লিভার ফাংশান ভালো করে। লিভার থেকে টক্সিন বের করে দেয়।

৩. ঋতুচক্রের সমস্যা দূর করে: সময়ের আগেই মেনোপজের লক্ষণ দেখা দিলে বা ঋতুচক্র সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে বিটের জুস খান। বিটে থাকা আয়রণ নতুন লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে। যার ফলে ঋতুচক্রের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

বীট লাগানোর সময়:

বীট বসন্ত বা শরত্কালে রোপণ করা হয়। সাধারণত মে মাসের শুরুতে এটি রোপণ করা হয়। অনেক বিশেষজ্ঞ আবার জুনের শুরুতে বীট বপনের পরামর্শ দেন।

চারা সংগ্রহ:

নার্সারি থেকে চারা কিনে এনে টবে একটি করে চারা লাগাতে হবে।

টবে বীট চাষের পদ্ধতি :

সবার আগে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। কিছুটা কোকো পিট, কিছুটা বাগানের মাটি, একমুঠো নিম খোল এবং কিছুটা জৈব সার, জৈব সারের মধ্যে নিতে পারেন গোবর সার বা সরষের খোল পচা সার দিয়ে ভালো করে মাটি প্রস্তুত করে রাখতে হবে। অন্তত দশ পনেরো দিন এইভাবে একটি ১০ ইঞ্চি টবের মধ্যে মাটিতে জল দিয়ে রাখতে হবে।

পরিচর্যা:

প্রথম সাতদিন ছায়াতে রাখতে হবে। নিয়মিত দুবেলা জল দিতে হবে। কিছুদিন পর গাছ একটু বড় হলে রোদে রাখতে পারেন। ১০ দিন অন্তর অন্তর খোলপচা জল দিন। মোটামুটি দুমাস পর গাছ বেশ বড় হয়ে গেলে, বীট তুলে খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে যায়। তবে শুধুমাত্র বীট নয়, এর পাতাগুলি কেও আপনি শীতকালীন সবজির সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে রান্না করতে পারেন।

আরও পড়ুন - আধুনিক পদ্ধতিতে জিনিয়া ফুলের চাষ করে দ্বিগুণ মুনাফা অর্জন করুন

তবে শুধু টবেই নয়, আপনার বাড়ির সামনের উঠানে একটু  জায়গা থাকলে সেখানেও বীটের বীজ ছড়াতে পারেন অথবা চারাও বসাতে পারেন। আর এই একই রকম পদ্ধতিতে চাষ করুন শীতকালীন সবজি বীট।

সংগ্রহ:

পাতাগুলি হলুদ হতে শুরু করার পরে বীট সংগ্রহ করুন। সংরক্ষণের আগে, টবের অতিরিক্ত মাটি সরিয়ে পৃথক করে নিন। এতে ফসল সংগ্রহে সুবিধা হবে। অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা জায়গায় ফসল সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। এতে দীর্ঘদিন ফসল সতেজ থাকে। 

আরও পড়ুন - Dahlia Flower Farming – ডালিয়া ফুলের চাষ করে কীভাবে অর্থ উপার্জন করবেন, জেনে নিন চাষের খুঁটিনাটি

English Summary: Become profitable by cultivating beets at home through proper care
Published on: 28 August 2021, 10:02 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)