খাবারকে সুস্বাদু বানাতে টমেটোর জুরি মেলা ভার। সব্জিতে টমেটো যোগ করলে এর স্বাদ এক আলাদা পর্যায়ে চলে যায়। ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, পটাসিয়াম এবং নিয়াসিন ইত্যাদি ভিটামিনে সমৃদ্ধ থাকে টমেটো।
কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, গুজরাট, তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ড উত্তরপ্রদেশ সহ আমাদের দেশের প্রায় সব রাজ্যেই টমেটো চাষ হয়। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি টমেটো উৎপাদন হয় অন্ধ্রপ্রদেশে। মোট উৎপাদনের প্রায় ১৭.৯ শতাংশ টমেটো উৎপাদন হয় অন্ধ্রপ্রদেশে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কর্ণাটক।
টমেটো এমন একটি সব্জি যার চাহিদা বাজারে সবসময় থাকে। টমেটোর দাম সবসময় ওঠা নামা করে। বর্তমানে বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। তাই বর্তমানে টমেটো চাষিরা বিপুল মুনাফা অর্জন করছেন। টমেটো চাষের ক্ষেত্রে কৃষকদের নার্সারি প্রস্তুত করতে হয়। রোপণের ২ মাস আগে নার্সারি তৈরি করে নিতে হয়।
আরও পড়ুনঃ কৃষকবন্ধু প্রকল্পে আসছে বড় পরিবর্তন! টাকা ঢোকা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা
টমেটো চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি হওয়া বিশেষ উপযোগি। কালো দো-আঁশ মাটি, লাল দোআঁশ মাটি এবং তৈলাক্ত মাটি টমেটো চাষের জন্য উপযুক্ত। পাশাপাশি মাটির PH মান ৭ থেকে ৮.৫ এর মধ্যে হতে হবে। টমেটো চাষের ক্ষেত্রে একটি অসুবিধা হল এই ফসলে অনেক বেশি রোগ দেখা যায়। তাই টমেটোকে রোগ এবং পোকামাকড় থেকে রক্ষা করার জন্য কীটনাশক স্প্রে করা উচিত। যদি গ্রীষ্মকালে এই ফসল চাষ করেন সেক্ষেত্রে সপ্তাহে একবার সেচ দিলে ফলন ভালো হয়।
আরও পড়ুনঃ লাভের নয়া দিশা দেখাচ্ছে লবঙ্গ চাষ
টমেটোর বিশেষ কিছু জাত রয়েছে যেগুলি উচ্চ ফলন দেয়। পুসা-120, পুসা হাইব্রিড-4, পুসা গৌরব, অর্ক সৌরভ, অর্ক রক্ষক, অরকা সোনালী এবং পুসা হাইব্রিড-1 এগুলি এই বিশেষ জাতের মধ্যে অন্যতম। টমেটোর অর্ক রক্ষক জাতটি সবচেয়ে বেশি ফলন দেয়। এই জাতটি 2010 সালে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হর্টিকালচারাল রিসার্চ এর অধীনে তৈরি করা হয়। এই ফসলটি তৈরি হয় ১৫০ দিনে। এক হেক্টর জমিতে 190 টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।