মধ্যপ্রদেশে ওয়্যার হাউস কর্পোরেশনের বড় গাফিলতি সামনে আসছে । সগর জেলার সরকারি গোডাউনে কৃষকদের কাছ থেকে কেনা খাদ্যশস্য পরিচর্যায় অভাবে নষ্ট হচ্ছে । এতে কোটি কোটি টাকার খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ও অসতর্কতার কারণে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও ধান সরানো হয়নি। ফলে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ডাল,চাল নষ্ট হচ্ছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ সালে গুদামে কেনা ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫৭.৮০ কেজি উড়াড় ডালের মধ্যে বর্তমানে ১৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯২.৩৮ কেজি মজুদ রয়েছে । একইভাবে, ২০১৮-১৯ সালে কেনা ২ হাজার ৪২০.৪৮ কেজি ছোলার ডাল মজুদ করা রয়েছে । একইভাবে, ২০২০-২১ সালে কেনা মসুর ডালও নষ্ট হচ্ছে।
নষ্ট হওয়ার আগেই নিলাম করা হয় কিন্তু
যাতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পায় তার জন্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে (MSP) ছোলা,ধান,উড়াড় ডাল ইত্যাদি কিনে নেয়। কেনার পর সেগুলো গুদামজাত করা হয়। এখানে শস্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য উন্নত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পিছিয়ে ঝাড়খণ্ড- কম দামে মহাজনদের কাছে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা
কীটনাশক, ওষুধ ইত্যাদি পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন এবং শস্যের যত্নের জন্য ব্যবহৃত হয় । শস্য নষ্ট হওয়ার আগে ব্যবসায়ীদের কাছে ভাল অবস্থায় বিক্রি করা হয়। তবে সাইখেদা ওয়্যার হাউসে এটি করা হয়নি।
শস্য তোলার নির্দেশ দিলেন কালেক্টর
যথাসময়ে নিলাম না হওয়ায় এখন যেসব ব্যবসায়ী শষ্য় কিনতে আসবেন তারা সমর্থন মূল্যে করা ক্রয়ের চেয়ে কম দাম দেবেন। এতে সরকারের বড় ধরনের ক্ষতি হবে। কালেক্টর দীপক আর্য বলেছেন যে সাইখেদা ওয়্যার হাউসে তিন বছর ধরে ছোলা এবং উড়াড় ডাল রাখার বিষয়ে আমি ওয়্যার হাউস কর্পোরেশনের জেলা ব্যবস্থাপকের সাথে কথা বলেছি।
আরও পড়ুনঃ KPSC নিয়োগ 2022: স্নাতকদের জন্য বড় সুযোগ; বেতন 75000 টাকা পর্যন্ত