অনেকেই খাবার টেবিলে বসে বলেন বেগুনের কোনো গুন নেই। যারা বলেন তারা হয়তো জানেন না বেগুণের গুণাগুণ সম্পর্কে। জেনে রাখা ভালো বেগুণ পুষ্টিতে ভরা একটি সবজী। তবে বেগুণ পুষ্টিতে ভরপুর থাকলেও বর্তমানে বেগুন ফলনের জন্য ও কীটপতঙ্গের থেকে দূরে রাখার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে রাসায়নিক সার থেকে শুরু করে কীটনাশক। তবে আর পোকা লাগবে না বেগুনে! বা ফলনের জন্য ব্যবহার করতে হবে না রাসায়নিকের।
এবার এ-বিষয়ে হুগলি জেলার উদ্যান পালন দফতরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ করছে জেলার বেগুন চাষীদের নিয়ে। সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধতিতে বেগুন চাষ হবে। যার ফলে রাসায়নিক মুক্ত বেগুন পৌঁছে যাবে বেগুন প্রিয় মানুষদের ঘরে ঘরে।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে এক জমিতে একাধিক ফসল চাষ করবেন? শিখে নিন মাল্টিলেয়ার ফার্মিং পদ্ধতি
বিনারাসায়নিকে কীভাবে হবে বেগুন চাষ?
যে জায়গায় বেগুন চাষ হবে, সেখানে একটি হলুদ রঙের আঠাযুক্ত প্যাড ব্যবহার করা হবে। এই হলুদ রঙের প্রতি আকৃষ্ট হবে পোকারা। এই প্যাডে ব্যবহার করা হচ্ছে ফেরোমন ট্র্যাপ। যা হল এক ধরনের হরমন। কীটপতঙ্গরা এই হরমনের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে পড়বে। যার ফলে ওই আঠাযুক্ত প্যাডে গিয়ে বসবে, আর তখনই মৃত্যু ঘটবে। এই প্রক্রিয়ায় কীটপতঙ্গের বংশবৃদ্ধি কমানো সম্ভব হবে। এই আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে জৈবিক ভাবে চাষ করে পোকার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। যার ফলে আমরা রাসায়নিক বিহীন ফসল উৎপন্ন করতে সক্ষম হব। এছাড়াও, আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে হর্টিকালচার দপ্তরের পক্ষ থেকে চাষীদের নতুন নতুন চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে। তবে আগামীদিনে বেগুন প্রেমীরা রাসায়নিক বিহীন বেগুন খাবার পাতে পেতে চলেছেন।