গত কিছু বছরে কৃষিক্ষেত্রে এসেছে আমূল পরিবর্তন। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরাও বর্তমানে এগোচ্ছে স্মার্ট ফারমিং এর দিকে। বর্তমানে তারা ভাবতে শুরু করেছে কিভাবে অল্প সময়ে এবং অল্প খরচে বেশি মুনাফা অর্জন করা যায়। পাশাপাশি যে সমস্ত চাষে সরকারের সহায়তা পাওয়া যায় সেদিকেও ঝুঁকছেন কৃষকরা।
এমনই একটি চাষ নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করব যার হাত ধরে মিলবে বেশি মুনাফা। অনেকেই বর্তমানে ভেষজ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কারণ ভেষজ চাষ বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে চাষ করা যায়। এই ভেষজগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম হল লবঙ্গ। এটি এমন একটি ফসল যেটির চাহিদা বাজারে সবসময় থাকে। তাই কৃষকরা এর চাষ শুরু করলে ক্ষতির মুখে পড়বে না। তবে এই সমস্ত চাষ শুরু করলে অবশ্যই দিতে হবে বিশেষ নজর।
আরও পড়ুনঃ আফিম পর্ব ১: বাঙালির প্রিয় খাবারের তালিকায় পোস্ত এল কিভাবে?
লবঙ্গ চাষের ক্ষেত্রে নরম মাটির প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি দেখতে হবে জল নিকাশি ব্যাবস্থা যাতে ভালো থাকে। জল জমে থাকলে গাছের চারা নষ্ট হয়ে যায়। লবঙ্গের চারা রোপণ করার একদিন আগে বীজ জলে ভিজিয়ে রাখুন।বীজের উপর থেকে খোসা ছাড়িয়ে বীজ বপন করা হয়। বপন করার সময় ১০ সেমি দূরত্বে বপন করুন। 30 থেকে 35 ডিগ্রী তাপমাত্রায় গাছগুলি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। লবঙ্গ আঙ্গুরের মত গুচ্ছ আকারে জন্মায়। গাছে ফুল ফোটার আগে কেটে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ আফিম পর্ব ২- এই চাষে লাইসেন্স পাবেন কিভাবে? ভারত সরকার নিয়ন্ত্রণ করে কিভাবে?
লবঙ্গের একটি গাছ থেকে প্রায় ২ থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত লবঙ্গ উত্পাদন করে। জমিতে যদি ৫০ টি গাছও লাগানো যায় তাহলে প্রায় ১ থেকে ১.৫০লাখ টাকা উপার্জন করা যায়। তবে এটি চাষের ক্ষেত্রে জৈব সার ব্যবহার করা উচিত। এই গাছে ৪ থেকে ৫বছরের মধ্যে ফল আসা শুরু করে। এর চারা পাওয়ার জন্য স্থানীয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে এই চারা।