আপনিও যদি কম খরচে ভালো অর্থ উপার্জন করতে চান, তাহলে জিরা চাষ আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। আপনি জানেন যে এটি সর্বদা ভারতীয় রান্নাঘরে ব্যবহৃত হয়। স্থূলতা এবং পেট ব্যথার মতো রোগ জিরা সেবনে দূর হয়। এটি আয়ুর্বেদিক ওষুধেও ব্যবহৃত হয়। এতে 17.7% প্রোটিন, 23.8% চর্বি এবং 35.5% কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। আসুন আমরা আপনাকে এর চাষ সম্পর্কে বলি। ভারতের প্রায় সর্বত্রই এর চাষ হয়। যদিও প্রধানত রাজস্থান এবং গুজরাটের মতো পশ্চিম ভারতীয়রা এর চাষের জন্য বিখ্যাত।
জলবায়ু
মধ্যম উপ-গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু চাষের জন্য সবচেয়ে আদর্শ বলে বিবেচিত হয়। মাঝারি ঠাণ্ডা এবং শুষ্ক জলবায়ুও এর জন্য উপযুক্ত। উচ্চ আর্দ্রতা ও অতিবৃষ্টিতে জিরা চাষ করা যায় না।
মাটি
শুষ্ক, দোআঁশ মাটি এর চাষের জন্য প্রয়োজন। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর এটি বপনের উপযুক্ত সময়।
আরও পড়ুনঃ মাত্র 5 বছরে 70 লাখ আয় করুন! শুরু করুন এই গাছ চাষ
সেচ
এক সেচের পর পরের সেচ 8 থেকে 10 দিন সময় লাগে। যাইহোক, মাটির ধরন মাথায় রেখে এবং আবহাওয়ার অবস্থা বুঝে কৃষকরা সাধারণত 15-25 দিনের ব্যবধানে সেচ দিয়ে থাকেন। যদি শেষ ভারী সেচ বীজ গঠনের সময় দেওয়া হয় তবে আরও ভাল হয়।
ফসল
কাটার আগে ক্ষেত পরিষ্কার করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার জন্য একটি কাস্তে ব্যবহার করা উচিত। কাটার পরে, গাছগুলিকে রোদে শুকানোর জন্য একটি পরিষ্কার শস্যাগার ব্যবহার করুন। শুকানোর পরে, বীজ স্যুপ দ্বারা লাঠি ব্যবহার করে তাদের আলাদা করুন।
আরও পড়ুনঃ বিজনেস আইডিয়াঃ এই গাছটি চাষ করে দেখবেন লাভের মুখ
জিরার চাহিদা
মনে রাখবেন যে প্রতিটি ভারতীয় বাড়িতে জিরা প্রচুর ব্যবহৃত হয়। এর স্বাদ এবং গন্ধ খাবারটিকে আরও চমৎকার করে তোলে। এছাড়াও এটি খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। মসলা হিসেবে জিরা সবচেয়ে ভালো। এর টেম্পারিং সবজি, মসুর বা রাইতায় অনুভূত হয়।
জিরা জল পান করা স্বাস্থ্যের জন্যও সেরা। এর সেবন শরীরে শুধু নতুন শক্তিই দেয় না অনেক রোগ থেকেও রক্ষা করে।