শীতের মরশুমে গ্রাম থেকে শহর ভড়ে ওঠে নানা রঙের ফুলে। ফুল ভালোবাসেনা এমন মানুষ বোধ হয় খুব কমই আছে। ফুল বিশ্বের প্রত্যেক মানুষের কাছে অতি প্রিয় এক বস্তু। শীতে যেসব ফুল ফোটে প্রায় সবই বিদেশি। এই সময় বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠে ফুলের বাগান থেকে নার্সারি। এছাড়াও অনেকেই বাড়ির ছাদে টবের মধ্যে ফুলের চাষ করেন।
এই শীতের মরশুমে হাওড়া জেলার বাগনানে বিভিন্ন ফুল চাষিরা তাঁদের বাগানে একাধিক ফুলের চাষ করে ফুলের উদ্যান তৈরি করে। যেখানে চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, অ্যাস্টার, কসমস সিলভিয়া, সূর্যমুখী, জারবেরা, গ্ল্যাডিওলসের মতো রঙ বেরঙের ফুল ফুটিয়ে তোলে। তবে বর্তমান সময়ে একাধিক মানুষ তাজা ফুল ছেড়ে, কৃত্রিম ফুলের দিকে ঝুঁকেছে।
আরও পড়ুনঃ শীতের মরশুমে পরিবেশ ভরে উঠুক ফুলে ফুলে
কয়েক বছর আগে অব্দি অনুষ্ঠান বাড়িতে সদ্য তাজা ফুলের ব্যবহারিক রমরমা ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে কৃত্রিম ফুলের ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে তাজা ফুল অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে। বিয়ের মরশুমে কৃত্রিম ফুল অত্যাধিক বেশি পরিমানে ব্যবহৃত হওয়ায় ফুল চাষিরা ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। করোনার পরবর্তী সময়ে ফুল গাছে ছত্রাকের আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবে নতুন চিন্তার সম্মুখীন হয়েছে ফুল চাষিরা।
তবে কিছু কেমন সময়ে ফুলের চাহিদা থাকলেও দামে পোষায় না চাষিদের। কিন্তু ফুল, গাছেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার থেকে কম দামে বাজারে ছেড়ে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করছেন ফুল চাষিরা। তবে চাষিদের বক্তব্য অনুযায়ী, কৃত্রিম ফুল নষ্ট হয়ে যাওয়া বা পচে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। বিভিন্ন কাজে একই ফুল বাড়বার ব্যবহার করতে পারা যায়। কৃত্রিম ফুলের খরচও তুলনামূলকভাবে কম। তাই অনেকেই কৃত্রিম প্লাস্টিকের ফুল বেছে নিচ্ছেন।