উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: একটি অত্যন্ত লাভজনক অর্থকারী ফসল পান। পান খুব সুখী গাছ। তাই এর চাষের পদ্ধতিও খুব নিবিড় ও ব্যয় বহুল। উপরন্তু আর্দ্র গরম আবহাওয়ায় এর চাষ হয় বলে পোকা-মাকড় এবং ছত্রাক জাতীয় রোগের উপদ্রব পানের ক্ষেত্রে অনেক বেশি। ফলে প্রায়শই পান চাষীদের বিভিন্ন সংকটের সম্মুখীন হতে হয়।
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক পান চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়। ময়নাগুড়ির উত্তর মৌয়ামারি এলাকার একজন পান চাষী বিমল মহন্ত। তিনি দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে পান চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। প্রথম দিকে পান চাষ করতে তার ২০-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। এরপর প্রতিবছর পরিচর্যার জন্য খরচ হয় ১৫-২০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুনঃ বাদাম চাষীরা! লাভের আশায় প্রহর গুনছেন
যদিও সপ্তাহে দু-বার করে পান বিক্রি করেন বিমল বাবু। সেই অনুযায়ী বার্ষিক আয় হয়ে যায় লক্ষাধিক টাকা। ময়নাগুড়ির পান চাষীরা জানান, বাংলা পান চাষ করতে প্রথম বছর ভালো পরিমান অর্থ খরচ হয়। যদিও প্রথম বছর সে রকম ভাবে পান পাতা বিক্রির উপযোগী হয় না। দ্বিতীয় বছর থেকে পান পাতা বিক্রির জন্য উপযুক্ত হয় এবং ভালো পরিমান অর্থ লাভ হয়।
আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগের অভিনব উদ্যোগ –মৎস্যজীবিদের ডিজিটাল সংযুক্তি
উত্তর মৌয়ামারির পান চাষী বিমল মহন্ত বলেন, "পরিচর্যার জন্য প্রতিবছর খরচ হয় ২০-৩০ হাজার টাকা। পান গাছের গোড়ায় দোআঁশ মাটির জন্য খরচ করতে হয় ১৫-১৮ হাজার টাকা। খরচ অনুযায়ী অতিরিক্ত লাভ হয় না, কিন্তু কিছুটা লাভ হয়। প্রখর রোদ যাতে না লাগে তার জন্য প্রয়োজনীয় ছাউনির ব্যবস্থা। ঠাণ্ডা বাতাস, কুয়াশা, ঝোড়ো হাওয়া যাতে গাছে না লাগে এবং গাছ নষ্ট না হয় তার জন্য চারপাশের বেড়া ভালো করে দেওয়া জন্য প্রয়োজন হয় বাঁশ, খড় এবং পাটকাঠি।"