পাটের ফলন ভালো হলেও চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছেন বাংলাদেশের পাট চাষিরা।বৃষ্টি না হওয়ায় জলের অভাব দেখা দিয়েছে।যার ফলে পাট জাগ দিতে পারছেন না কৃষকরা । পাট গাছ বড় হয়ে গেলে চাষিরা তা কেটে একসঙ্গে অনেকগুলি পাটকে বেঁধে জলে ফেলে দেয়। এই প্রক্রিয়াকেই পাট জাগ দেওয়া বলে।বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিরা জল পাচ্ছেন না ফলে মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে পাট গাছগুলি।এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের চরম লোকসান হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে তবুও ক্ষতির আশঙ্কা পিছু ছাড়ছে না কৃষকদের ।
বাংলাদেশ পাটের জন্য বিখ্যাত।কিন্তু বাংলাদেশের মধ্যে সবথেকে ভালো পাট ফরিদপুরে পাওয়া যায়।বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ কিন্তু ফরিদপুর জেলার প্রধান অর্থকারী ফসল হল পাট।ফরিদপুরের পাট এতই বিখ্যাত যে সোনালী আঁশে ভরপুর,ভালোবাসি ফরিদপুর,এই হচ্ছে এ জেলার ট্যাগ লাইন। তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় শুকিয়ে যাচ্ছে নদী,নালা, ফলে পাট জাগ দিতে পারছেন না কৃষকরা।
জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাস প্রায় শেষ। কিন্তু বৃষ্টির তেমন দেখা না পাওয়ায় ও এই অঞ্চলের বেশিরভাগ খাল-বিল, নদী-নালায় জল না থাকায় বেশ চিন্তিত কৃষকরা। জলের অভাবে পাট পচানো নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। পর্যাপ্ত জল পাওয়া না গেলে পাটের গুণগতমান নষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
বর্তমানে একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৭০০-৮০০ টাকা। এক বিঘা জমির পাট কেটে তা জাগ দিয়ে শুকিয়ে ঘরে তুলতে যে পরিমাণ মজুরি দিতে হয়, তাতে খরচ মিটিয়ে মণ প্রতি পাটের দাম পড়ে ২ হাজার টাকার অধিক। আবার খাল-বিলে অধিকাংশ সময় জল থাকে না। আবার কোনো কোনো খালে মাছ চাষ করায় জল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় পাট জাগ দেওয়া ও আঁশ ছাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ সমস্যা হয়।ফলে ফলন ভালো হলেও সোনালী আঁশ ঘরে তোলা নিয়ে বেশ চিন্তায় আছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুনঃ