উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: বর্ষার মৌসুমের বেগুন চাষ করে বিপাকে কৃষক। দীর্ঘদিন ধরে বর্ষার সময় বেগুন চাষ করে কিছুটা আর্থিক উপার্জনের মুখ দেখেন। কিন্তু এবছর ফলন কম হয় চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষক ভূপেন্দ্রনাথ রায়। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির হলহলিয়া এলাকায় এক বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেন।
এই চাষ করতে তার ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বেগুন গাছে সেরকম ফলের দেখা নেই। এদিকে গাছের চেহারা ভালো কিন্তু ফলনের দিক থেকে সেরকম নেই। তিনি বাজার থেকে অতিরিক্ত টাকায় রাসায়নিক সার দিয়ে চাষ করেছেন। এখন রাসায়নিক সারের টাকা তুলতেই তার ঘাম ছুটে যাচ্ছে।
তিনি আবেদন করছেন রাসায়নিক সারের দাম যাতে কমানো যায় তাহলে কৃষকেরা অনেকটাই উপকৃত হবে। বেগুন চাষী ভূপেন্দ্রনাথ রায় বলেন, বাজারের দর অনুযায়ী আমাদের কিছুটা লাভ হয় কিন্তু এবার বাজার দর নেই ফলনের দেখাও নেই। এদিকে বেশ কিছুদিন আগেই রাসায়নিক সার স্প্রে করা হয় ফলের জন্য কিন্তু কোন রকম কাজ হয়নি। এই অবস্থায় চলতে থাকলে আমাদের কৃষকদের চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়তে হবে। তাই সরকার যদি রাসায়নিক সারের মূল্য বৃদ্ধিটা কমানোর চেষ্টা করে তাহলে আমরা উপকৃত হব।
আরও পড়ুনঃ মিশ্র চাষে আর্থিক লাভবানের স্বপ্ন! ময়নাগুড়ির কৃষক গোয়েন রায়ের
এদিকে দিন দিন বেড়েই চলেছে আলু চাষিদের সমস্যা। দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতে সরকার থেকে নেওয়া হচ্ছে একাধিক পরিকল্পনা। সরকারি মূল্যে ধান কিনতে গেলেও এবার কৃষকবন্ধু পোর্টালে কৃষকদের জমির পরিমাণ যাচাই করে তবেই ধান কেনা হবে।
আরও পড়ুনঃ ব্রহ্মপুত্রের চরে বিপুল তরমুজ চাষ! চাষিদের জীবনে এবার পরিবর্তন নাকি ইতিহাসের প্রত্যাবর্তন