মৌসুমি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন পাটচাষিরা। এতে পাটের চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে চাষিদের। ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা রয়েছে পাট চাষিদের।
প্রতিবছর চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখে শুরুর দিকে বৃষ্টিপাতের দেখা মেলে। তবে এ বছর সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ার পাট চাষ ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে খেতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে বিঘাপ্রতি প্রায় দুই হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হয়। উৎপাদন ও ন্যায্যমূল্য না পেলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে চাষিদের।
এক একর জমিতে পাট চাষ করতে কৃষকদের খরচ হয় ৪৫ থেকে ৫৩ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় পাট উৎপাদন হয় ৮ থেকে ১০ মণ। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমানে বৃষ্টি না হওয়ার জন্য় কৃষকদের পাঠ চাষ করতে বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে ।
আরও পড়ুনঃ তরমুজ চাষে দিশা দেখাচ্ছে পরুলিয়া
জমিতে সেচ দেওয়ার উপযুক্ত সময় চৈত্র মাসের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে চাষিদের সেচ দিতেও দেরি হয়ে গিয়েছে। তাই এ বছর পাটের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে বলে আশঙ্কা কৃষি বিশেষজ্ঞদের ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর ডিজেলের দাম বেশি থাকায় সেচ দিতে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। তা ছাড়া নদী দূরে থাকায় অনেক জমিতে সেচ দিতেও সমস্যা হচ্ছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে জমিতে সেচ দিতে কৃষকদের বিঘা প্রতি প্রায় ২ হাজার টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে । এতে করে বিঘাপ্রতি উৎপাদন ব্যয় ২০ হাজার টাকা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ফুলকপি বা ব্রোকলি নয়,চাষ করুন ব্রাসেলস স্প্রাউটের,আয় হবে দ্বিগুন
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে ,সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাটচাষিরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন। কৃষককে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বেরে গেছে। কিন্তু এর ফলে পাট উৎপাদন কম হবে এটা ভাবার কোনো কারন এখনো বিশেষজ্ঞরা দেখতে পাচ্ছেন না ।