কম বেশি প্রত্যেক কৃষক ২-৩ প্রজাতির ধান চাষ করে থাকেন। তবে এবার ৩৩ রকমের দেশীয় প্রজাতির ধান চাষ করে নজীর গড়লেন নদিয়ার হাঁসখালি ব্লকের নিমাই মণ্ডল। ওই কৃষক দীর্ঘ ১১ বছর নানা প্রজাতির ধানের চাষ করে আসছেন। এই বছর তিনি প্রায় তিন বিঘা জমিতে ৩৩ রকম প্রজাতির ধান চাষ করেছেন।
৩৩ রকম প্রজাতির যে ধান চাষ করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- রাধা তিলক, বর্ষা লক্ষী, কামিনী, মালিয়া, কলাবতী, সীতা, সাল, লক্ষণ, বহুরূপী, মঞ্জুরা, মানিক, কালা ভাত, কাল জল ইত্যাদি। এই সমস্ত ধান চাষের জন্য খুব বেশি রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না। তবে এই ধান গাছের জন্য বেশি জলের প্রয়োজন হয়। এই ধান চাষ করে প্রতি মরশুমে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা লাভ করেন কৃষক।
হাঁসখালি ব্লকের অন্তর্গত গোপালপুরের চাষী নিমাই মণ্ডল জানায়, এই ধান গুলি খুব পুষ্টিকর ও মাটির জন্যও খুব ভালো। ধান উত্তোলনের পর পরিমাণ মত বিক্রি করে কিছু পরিমান ধান রেখে দেওয়া হয়। বীজের জন্য। ওই বীজ বিভিন্ন চাষিদেরও দেওয়া হয়। উল্লেখ্য এই প্রজাতির ধান গুলি নামেও যেমন বৈচিত্র্য, স্বাদেও তেমনই। বেশ কিছু প্রজাতির ধান আছে যা এখন আর পাওয়া যায় না। এই প্রজাতির ধান গুলি চাষ শুরু করার ১৪৫ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। বিঘে প্রতি এই সব ধানের ফলন হয় ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ মন। এছাড়াও এই প্রজাতির ধান গুলি কোনটা সরু আবার কোনটা মোটা। কোনো চালের রঙ কালো তো কোনটা সাদা, কোনটা আবার লাল রঙেরও। কিছু কেমন চাল সুগন্ধি।