উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার জনপ্রিয় শীতকালীন ফসল হল সরষে। রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলাতেই শীতের শুরুতে মাঠ ঢেকে যায় হলুদ সরষে ফুলে। তাই রাজ্যে প্রতি বছরই বাড়ছে সরষে চাষ। তবে নিয়ম মেনে চাষ করলে পাওয়া যেতে পারে কিছু বাড়তি ফলন। সঙ্গে রোগ-পোকা আক্রমণের উপসর্গ ও প্রতিকার জানা থাকলে আরও সহজে সাফল্য মিলবে সরষে চাষে।
উচ্চ ফলনশীল মাঘী সর্ষে চাষ করে লাভের আশায় দিন গুনছেন জলপাইগুড়ি'র চাষীরা। এখানকার চাষীরা অন্যান্য চাষবাসের পাশাপাশি সর্ষে চাষ করে থাকেন। এই সর্ষে চাষ করে তারা অনেকটাই আর্থিক লাভবান। স্থানীয় চাষী গোবিন্দ রায় বলেন, "তিনি এবছর তার নিজস্ব দু-বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল মাঘী সর্ষে চাষ করেছেন। বর্তমানে গাছের রিস্টপুষ্টতা দেখে তিনি মনে করছেন ভালো ফলন হবে। তিনি আরও জানান, তাদের এলাকায় এক বিঘা জমিতে তিন থেকে চার কুইন্টাল সর্ষে উৎপন্ন হয়। বাজারে বিক্রির পাশাপাশি সর্ষের থেকে ভোজ্য তেল প্রস্তুত করে খেয়ে পড়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বেঁচে আছেন। তাই সর্ষের চাষ করলে আর্থিক লাভবানের পাশাপাশি বিশুদ্ধ তেল বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায় বলেও অভিমত প্রকাশ করেন।"
আরও পড়ুনঃ কঠোর প্রশাসন! আবাস যোজনায় বেনিয়ম রুখতে গঠিত কেন্দ্রীয় নজরদার কমিটি
সবশেষে সরষে ফল পেকে গেলে ঘরে তোলার পালা। সরষে গাছ সাধারণত সকালের দিকে কাটা উচিত । তা না হলে, দানা ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া ফসল ভালোভাবে না পাকলে, বীজে তেলের ভাগ অনেকাংশই কমে যায়। তাছাড়া বীজের অঙ্কুর ফোটার ক্ষমতাও কমে যায়।
আরও পড়ুনঃ কৃষকবন্ধু প্রকল্পে বড় আপডেট, জানুন কবে ঢুকবে প্রকল্পের টাকা