আউশ ও আমন ধান চাষিদের কপালে মাথায় হাত।আষাঢ় গিয়ে শ্রাবন চলছে কিন্তু বর্ষার দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। বৃষ্টি না থাকায় কৃষকরা আমন ধানের বীজ তৈরি করতে পারছেন না।শুকিয়ে যাচ্ছে বীজ।অতিরিক্ত টাকা খরচ করে অতিরিক্ত জল দিয়ে তৈরি করতে হচ্ছে বীজ। ফলে কৃষকদরে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
এ অঞ্চলে ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৬৬ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপণ হয়েছে।
এছাড়া আউশের চাষ হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৩৭৮ হেক্টর জমিতে। রংপুর বিভাগে ৬ লাখ ১৬ হাজার হেক্টরে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও বিপরিতে ১৯ হাজার হেক্টর অর্জন হয়েছে বলে একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের আম আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে দিতে চান কৃষি মন্ত্রী
রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর এর তথ্য মতে, গত বছরের জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৯৭ মিলিমিটার এ বছর মাত্র ১৭ মিলিমিটার।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সুত্রে খবর, আমন ও আউশ আবাদের জন্য বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভর করতে হয়।জলের অভাবে অনেকেই এখন পর্যন্ত আমনের জমিই তৈরি করতে পারেননি।
আরও পড়ুনঃ জলের অভাবে জাগ দিতে পারছেন না পাট,ক্ষতির আশঙ্কায় দিন কাটছে কৃষকদের
কেউ কেউ সেচ দিয়ে জমি তৈরি করে চারা রোপণ করেছেন কিন্তু বৃষ্টির অভাবে সেগুলোও লালচে আকার ধারণ করছে।বৃষ্টি না হলে এগুলোও রক্ষা করা সম্ভব নয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ শামছুল ওয়াদুদ জানান, আমন ও আউশ ধান চাষাবাদে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে প্রতিটি সেচযন্ত্র চালু করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।নিচু ও মাঝারি উঁচু জমিতে আমন রোপণ চলছে। এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
আরও পড়ুনঃ
সামনের সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আমন রোপণে লক্ষ্যমাত্রা অজির্ত হবে বলে আশা করছেন তিনি।কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সম্পূরক সেচ দিয়ে চাষাবাদ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রেরণ করা চিঠি প্রাপ্তির সত্যাতা নিশ্চিত করে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশীদ জানান, সেচযন্ত্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে এবং তারা সেচকার্য পরিচালনা করছেন।