কৃষিজাগরন ডেস্কঃ আপেলের আদলে এখন উত্তর কাশ্মীরে কিউই চাষ শুরু হয়েছে। এটি কৃষকদের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসাবে দেখা হচ্ছে। কিউই খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এছাড়াও, এর ফসলে কীটনাশক স্প্রে করার প্রয়োজন হয় না। একই সঙ্গে বাজারে ভালো দামেও বিক্রি হয়।
আরও পড়ুনঃ আগাম আলু বপন করে কৃষকরা দ্বিগুণ লাভবান হবেন, এগুলোই প্রধান জাত
উত্তর কাশ্মীরে কিউই চাষ সফল
বারামুল্লা জেলায় ২০০২ সালে উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ দ্বারা একটি প্রদর্শনী বাগান তৈরি করা হয়েছিল। উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের এই পরীক্ষাও সফল হয়েছে। সোপোর জেলার কৃষক বশির আহমেদ এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কিউই চাষে কম বিনিয়োগ করে আমরা ভালো পরিমাণে ফল আনছি। আমি ৩ বছর আগে হিমাচল প্রদেশ থেকে কিউই গাছ এনেছিলাম, তারপর আমার বাগানে এই গাছগুলি রোপণ করেছি। দুই বছর ধরে এর ফল পাচ্ছি। তবে প্যাকেজিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাবে তিনি এখনও তার ফল অন্য বাজারে রপ্তানি করতে পারছেন না।
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টিতে গোলাপ চাষে ক্ষতি এড়াতে কৃষকদের এই পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করা উচিত
আপেলের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে না
দেশের আপেল উৎপাদনের ৮০ শতাংশের বেশি কাশ্মীরে উৎপাদিত হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে আপেলের ভালো দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এ কারণে কৃষকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেক কৃষক এখনো তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করছেন না। এ সময় বাজারে আপেল বিক্রি করে মোটেও লাভ হবে না বলে মনে করেন তারা। এ কারণেই কৃষকরা কৃষকরা এখন ভালো আয়ের জন্য অন্যান্য উদ্যানজাত ফসলের দিকে ঝুঁকছেন।