উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: আগাম আলু চাষে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ময়নাগুড়ির জলঢাকা নদীর চরের প্রায় কয়েকশো আলুচাষি। আলু পরিণত হওয়ার আগেই গাছ মরে যাচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। কিন্তু কী কারণে গাছ মরে যাচ্ছে, তা বুঝতে পারছেন না চাষিরা। তাই আলু পরিণত হওয়ার আগেই মাটি থেকে তুলে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। কম ওজনের আলু বিক্রি করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা। জলঢাকা চরে আলু চাষের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেছেন তাঁরা। সেই টাকা ফিরবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। এই খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক।
কৈলাস মণ্ডল নামে এক আলুচাষির বক্তব্য, 'আমি চরের ৯ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। এর জন্য আমার প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এখন গাছের বয়স ৪০ দিনের ওপরে। কিন্তু কী কারণে জানি না, খেতে জলসেচ করার কয়েকদিন পর থেকেই আলু গাছ ঝিমিয়ে পড়ছে ও শুকিয়ে যাচ্ছে। ওষুধ দিয়েও গাছ বাঁচানো যাচ্ছে না।" আরেক আলুচাষি বালক সিংহের দাবি, 'চূড়াভাণ্ডারের জলঢাকা নদীর চরে প্রায় তিনশো চাষি প্রায় দু'হাজার বিঘা আলু চাষ করেছেন। এই আলু গাছের বয়স ৪০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে। প্রায় প্রত্যেকেরই একই অবস্থা।
আরও পড়ুনঃ কৃষি জাগরণ দ্বারা আয়োজিত ওড়িশায় শুরু হয়েছে বৃহত্তম কৃষি মেলা 'সুবর্ণ কৃষি মেলা 2022'
বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য 'কেপিএস'-এর দুজন কর্মী কৃষিজমিতে পরিদর্শনে করেন এবং কৃষকদের সাথে সরাসরি আলোচনা করেন এবং এই রোগ থেকে কিভাবে পরবর্তীকালে মুক্তি পাওয়া যায়, সেই বিষয়েও পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ কেন পালিত হয় জাতীয় কৃষক দিবস ?