৫০০০ কেজি গোবর, ১০০ কেজি টিএসপি, ৫০ কেজি এমওপি, ৫০ কেজি জিপসাম, ১২ কেজি দস্তা, ১০ কেজি বোরণ জমি তৈরির সময় মাটিতে প্রয়োগ করুন। অবশিষ্ট গোবর (৫০০০ কেজি), টিএসপি (১০০ কেজি), ইউরিয়া (৮০ কেজি), পটাশ (৫০ কেজি) চারা রোপণের ৫-৬ দিন পূর্বে মাদায় প্রয়োগ করুন।
চারা রোপণের ১০-১৫ দিন পর ১ম বার, ফুল আসার পর ২য় বার এবং ফল ধরার সময় ৪০ কেজি ইউরিয়া প্রয়োগ করুন। মাটির ধরন ধরণ সারের মাত্রা কম বেশি করুন। মাদায় চারা রোপণের পূর্বে সার দেয়ার পর জল দিয়ে মাদার মাটি ভালভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে। অতঃপর মাটিতে জো এলে ৭-১০ দিন পর চারা রোপণ করতে হবে।
শশা এর সেচের
মাটিতে রস কম থাকলে বপনের ৭-১০ দিনের মধ্যেই একটি সেচ দিন। সাধারণত মাটির অবস্থাভেদে ২ সপ্তাহ পর পর ২-৩ বার সেচ দিন। লবণাক্ত এলাকায় সেচ প্রযুক্তি। কলসি দিয়ে ট্রিপ সেচ দিন। কলসির নিচে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছোট ছিদ্র করে তাতে পাটের আঁশ প্রবেশ করাতে হবে।
কলসি মাদার মাঝখানে এমন ভাবে বসাতে হবে যেন ছিদ্র ও আঁশ মাটির নিচে থাকে। কলসির ছিদ্রের সাথে যুক্ত পাটের আঁশ আস্তে আস্তে গাছের গোঁড়ায় পানি সরবরাহ করবে। মাদা সবসময় ভিজা থাকবে ফলে লবনাক্ত জল উপরে উঠে আসবেনা।
আরও পড়ুনঃ এই পদ্ধতিতে শসা চাষ করুন,আয় হবে দ্বিগুন
শসার বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণের তথ্য
শুধুমাত্র বিশুদ্ধ অপি জাতের শস্যতে বীজ রাখা যায়। দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে ফল পেকে গেলে বালাইমুক্ত ও নিরোগ গাছ থেকে পুষ্ট ফল বাছাই করে কাগজের ঠোংগা খুলে ফেলতে হবে। ফল পরিপূর্ণ পেকে গেলে হলুদ/লাল রং ধারণ করে। পাকা ফল চিড়ে বীজ বের করে নিন।
আরও পড়ুনঃ ছাদে টবে শসা চাষ করুন সহজে, জেনে নিন খুঁটিনাটি
পরে শাঁস থেকে কচলিয়ে বীজ বের করে পরে চালুনিতে ঘষে পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিন।হালকা রোদে ২-৩ দিন ঝরঝরে করে শুকিয়ে নিন। এতোমধ্যে অপুষ্ট বীজ ও অপদ্রব্য বাছাই করে নিন। বীজ দাঁতে কট আওয়াজ করলে তা শুকানো হয়েছে ধরে নেয়া যায়। শুকনা বীজ বায়ুশূন্য পলি ব্যাগে বা বায়ুনিরোধক পাত্রে বিশেষ করে কাঁচের বৈয়ামে পূর্ণ করে রাখুন। পাত্রের ফাঁকা জায়গা শুকনা ও পরিস্কার বালু বা ছাই ভরে রাখুন। পাত্র ফাঁকা থাকলে বীজের গজানো হার কমে যেতে পারে।