চাকরির জন্য অনেককেই এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত হতে হয়৷ সেক্ষেত্রে সবসময় জীবনযাত্রা মসৃণ গতিতে চলে না৷ অন্য রাজ্যে গিয়ে যে সব সমস্যার মধ্যে দিয়ে ব্যক্তিকে যেতে হয়, তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা রেশন ব্যবস্থা৷ কিন্তু এই সুবিধা থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগ নিয়েছে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’-এর৷ এই যোজনার উদ্দেশ্যই হল এর ভিত্তিতে অন্য রাজ্যে গিয়েও নিজের রেশন কার্ড দেখিয়ে রেশন নেওয়া সম্ভবপর হবে৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান শুক্রবার জানান, এই যোজনাতে আরও পাঁচ রাজ্যকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে৷ এই পাঁচটি রাজ্য নিয়ে মোট ১৭ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৬০ কোটি মানুষ এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন৷ ১ লা জুন থেকে সমগ্র দেশবাসীকে এই যোজনার আওতাভুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে৷
রামবিলাস পাসোয়ান একটি ট্যুইট করে জানান, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, দমন এবং দিউ- মোট পাঁচ রাজ্যকে এক দেশ এক রেশন কার্ড যোজনার অন্তর্ভুক্ত করা হল৷ এর আগে ১২ টি রাজ্য এই তালিকায় ছিল৷ শুক্রবার উপরোক্ত পাঁচটি রাজ্য যুক্ত হয়ে সেই তালিকা আরও কিছুটা দীর্ঘ হল৷ আগের ১২টি রাজ্যের তালিকায় ছিল- ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা, অন্ধপ্রদেশ, কর্ণাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং রাজস্থান৷ এক দেশ এক রেশন কার্ডের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি এইসব রাজ্যের যে কোনও স্থান থেকে ৫০ শতাংশ রেশন নিতে পারবেন৷ এই যোজনা অনুযায়ী পুরনো রেশন কার্ডগুলিও বৈধ বলে গণ্য করা হবে৷
প্রসঙ্গত, এর আগে, ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্যের অধিকার এবং সরকারি প্রকল্পের অধিকার পেতে প্রবাসী শ্রমিক, নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে ভেবে দেখতে বলে। এক দেশ এক রেশন কার্ড-এর মাধ্যমে লকডাউন পিরিয়ড হোক বা অন্য সময়, ভিন্ন রাজ্যে গিয়েও রেশনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন প্রত্যেকে৷ আর এই সুবিধা শুধু ১৭টি রাজ্য নয়, যাতে সমগ্র দেশব্যাপী প্রচলন করা যায় সেই বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷
বর্ষা চ্যাটার্জি