এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 13 December, 2022 2:31 PM IST
সংগৃহীত।

কৃষিজাগরন ডেস্কঃ চা যে ভারতে কতটা জনপ্রিয় তা বলার প্রয়োজন পরে না।  দিনের শুরু হোক বা রাতের সময়, ভারতীয়রা সব সময় চা পান করতে পছন্দ করে। ভারতে উৎপন্ন ভারতীয় চা শুধু দেশেই নয় বিদেশেও সমানভাবে জনপ্রিয়।  ভারতীয় চায়ের উন্মাদনা বিদেশেও লক্ষ করা যায়। 

আসাম চা

আসামের চা  ভারতের সবচেয়ে প্রিয় চা হিসাবে বিবেচিত হয়। এখানকার চায়ের চাহিদা শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই বিদেশেও এই চায়ের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। আসামে উৎপন্ন এক বিশেষ ধরনের চা কালো চা নামেও পরিচিত। আসামে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত নিম্নভূমিতে এটি জন্মে। আসামের কিছু জায়গায় এমনও বিশ্বাস রয়েছে যে আসামের চা মানুষের মনকে সতেজ রাখার পাশাপাশি অনেক ধরনের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

দার্জিলিং চা

জলবায়ু এবং পর্যটন স্থানের জন্য বিখ্যাত দার্জিলিং-এ উত্থিত চা সারা বিশ্বে পছন্দ করা হয়। চা সর্বপ্রথম দার্জিলিংয়ে জন্মায়। পাহাড়ি এলাকা থেকে আসা মাটি ও বাতাসের মাঝে উৎপন্ন চা তার উৎকৃষ্ট মানের জন্য স্বীকৃত। ছোট পাতা দিয়ে তৈরি দার্জিলিং চা বিশেষ করে কালো, সাদা এবং সবুজ রঙে পাওয়া যায়। এখানকার চাকেও জিআই ট্যাগ দেওয়া হয়েছে।দার্জিলিংয়ে তৈরি চা স্থূলতা কমাতে সহায়ক বলে মনে করা হয় এবং পেটের আলসারের সমস্যায়ও উপশম দেয়।

আরও পড়ুনঃ শীতের মরশুমে পরিবেশ ভরে উঠুক ফুলে ফুলে

আমেরিকা,রাশিয়া ও ইরানে ভারতীয় চা খুবই জনপ্রিয় এবং ওখানে রপ্তানিও খুব দ্রুত বাড়ছে। এই অগ্রগতিকে আরও আগে বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সমন্বয় দরকার যাতে থাকবে সম্প্রসারণ কর্মসূচী, ভাবনা-চিন্তা বিনিময় ও প্রতিনিধি পাঠানো। এই অনুষঙ্গে, বাণিজ্যিক প্রতিনিধি পাঠানো কয়েকটি দেশে খুবই জরুরি। যেমন- রাশিয়া, ইরান, ইজিপ্ট, কাজাখাস্তান, আমেরিকা, চীন, বাংলাদেশ যেখানে ভারতীয় চা-এর খুব কদর হয়। টি বোর্ড এবং আই টি এ যৌথ ভাবে একটি স্ট্রাটেজী পেপার বানিয়েছিলো সেখানে রপ্তানির টার্গেট রাখা হয়েছিলো ২৫০-২৭০ মিলিয়ন কেজি এবং পরবর্তী সময়ের জন্য ৩০০ মিলিয়ন কেজি। ঐ স্ট্রাটেজী পেপারে যা পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে মান্যতা দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরি টিউলিপ এখন বাড়িতেও জন্মাতে পারে, বাগান করার সম্পূর্ণ উপায় এখানে জানুন

মনে করা হচ্ছে ২০২৩ সালে চা এর উৎপাদন ও রপ্তানি  ভালোই হবে। ২০১৭ সালে চা বাগানগুলিতে দীর্ঘদিনের ধর্মঘট থাকায় চা শিল্পে তার বাজে প্রভাব পড়েছিল। সুখের কথা, আবার চা বাগানগুলিতে কাজ শুরু হয়েছে। মনে হয় দার্জিলিং চা এর উৎপাদন ও রপ্তানি আরও বাড়বে। চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকা খুবই দরকার। ঘরোয়া চাহিদা ও রপ্তানির পরিমান বাড়ানোর দিকে আরও নজর দিতে হবে। এই দুটি ক্ষেত্রেই টি বোর্ড ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের সহায়তা কাম্য।

English Summary: Foreigners are also crazy about this Indian tea, why? Know the specialty
Published on: 13 December 2022, 02:31 IST