দেশব্যাপী লকডাউনে সমগ্র দেশেই দেখা দিয়েছে সংকট। তবে কৃষকদের অবস্থা যেন আরও শোচনীয়। বিভিন্ন কারণবশতই তারা অনেক সময় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। কিন্তু এই পরিস্থিতি তাদের জীবনকে যেন এক বিভীষিকার দিকে ঠেলে দিয়েছে। বর্তমান অবস্থার উপর ভিত্তি করে সরকার আমাদের কৃষকভাইদের রক্ষার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। আসন্ন খরিফ মরসুমের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে কৃষকদের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য বিভিন্ন ত্রাণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
কৃষকদের রক্ষার্থে এবার ঝাড়খণ্ড সরকার ঘোষণা করেছেন যে, বীজ এবং সার ক্রয়ে কৃষকদের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হবে। তথ্য অনুযায়ী, এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রস্তাব রাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। তবে ঝাড়খণ্ডের কৃষকদের এখন অবধি বীজ ও সারের জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে যা আগামীদিনে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
কৃষকরা ৯০% ভর্তুকি পাবেন -
কোভিড-১৯ মহামারী এবং এর ফলে জারি করা লকডাউনের কারণে কৃষক ও শ্রমিকদের অর্থনৈতিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটেছে। এই অবস্থার কথা মাথায় রেখে বীজ ও সারে ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে, যাতে কৃষকদের অতিরিক্ত আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়। কৃষিমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন যে, খরিফ ফসল সংগ্রহের আগেই কৃষকরা এ সুবিধা পাবেন।
কেবল লাইসেন্স হোল্ডাররা কৃষি-রাসায়নিক বিক্রয় করার অনুমতি পাবেন –
তদুপরি, বীজ-সারের বরাদ্দের সময় সরকার কোন তৃতীয় ব্যক্তির (কোন মানুষ যাতে অসৎভাবে এর সুবিধা না নিতে পারে) প্রবেশ এতে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। সরকার একমাত্র লাইসেন্স হোল্ডারদের সার বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছে। এইভাবে, কৃষকরা সরকারী সুবিধা পেতে সক্ষম হবেন এবং ভাল মানের বীজও পাওয়া যাবে।
১৫ ই মে থেকে এটি শুরু হবে -
১৫ ই মে থেকে রাজ্যের কৃষকদের বীজ দেওয়ার প্রস্তুতি চলবে বলে সরকার জানিয়েছে। বীজ বিতরণের জন্য দরখাস্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভায় সরকারের ভর্তুকির প্রস্তাব পাসের সাথে সাথে বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এখন সমস্ত সিদ্ধান্তই কৃষকদের স্বার্থে নেওয়া হচ্ছে, যাতে কৃষকরা আরও বেশি সুবিধা পান এবং দেশব্যাপী লকডাউনের মধ্যে তাদের কোনও ধরণের আর্থিক ক্ষতির মুখে না পড়তে হয়।
ধান চাষীরাও সুবিধা পাবেন -
ঝাড়খন্ডের প্রায় ১৫ লক্ষ হেক্টর জমি ১.৪০ লক্ষ কৃষক ধান চাষে ব্যবহার করেন।
সরকারের এই ভর্তুকিতে কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি -
কৃষকরা যদি বীজ এবং সারে ৯০ শতাংশ ভর্তুকি পান, তবে কৃষকরা কৃষিকার্যে লাভের মুখ দেখবেন। অধিকন্তু, কৃষককে তার কৃষিকাজের জন্য কেসিসি লোণ নেওয়ার দরকার পড়বে না। তবে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি স্কিমের একটি কিস্তি এই লকডাউনের মধ্যে কৃষকদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। রাজ্যের প্রায় ১৫ লক্ষ কৃষক প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com )