Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 4 June, 2019 5:59 PM IST

বিজ্ঞান ভিত্তিক চাষবাসে মাটির গুরুত্ব সর্বাধিক আবার চাষ আবাদকে ব্যবসায়িক আঙ্গিকে দেখতে গেলে নিবেষের বা লগ্নির পূর্ব শর্ত হল মাটির উর্বরতা যাতে কৃষক বীজ, সার, জল, ঔষধে নির্দিষ্ট টাকা খরচ করে পর্যাপ্ত ফসল তথা লাভ ঘরে তুলতে পারে। প্রাকৃতিক উপায় এক ইঞ্চি মাটির স্তর তৈরি হতে হাজার বছরের বেশি সময় লেগেছে অথচ সেই মাটিকেই আমরা অবহেলা করছি। আজকাল গ্রামে সব চাষিভাইয়ের গরুও নেই আর গোবর সার ব্যবহারের চলও দিন দিন কমছে। চট জলদি লাভের আশায় কেবল মাত্র রাসায়নিক সারকে হাতিয়ার করে উচ্চ ফলনশীল ও সংকর জাতের ফসল চাষ করে মাটিকে ঝাঁজরা ও ক্রমে অনুর্বর করে তুলেছি। মাটির মজুদ খাদ্য ভান্ডারে ঘাটতি সৃষ্টি হওয়ার ফলে ও জৈবনিক স্থিতিশিলতা বিঘ্নিত হওয়ার ফলে মাটির স্বাস্থ্য দিন কে দিন ধারাবাহিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কমছে ফসলের উৎপাদন ও মান। মাটির স্বাস্থ্যকে রক্ষা করতে ও চাষের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গেলে চাষিভাইদের সুসংহত পুষ্টি বিধান ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে যার প্রধান স্তম্ভ হল মাটিতে পর্যাপ্ত জৈব সারের প্রয়োগ আর স্বল্প ব্যায়ে জৈব সারের সেরা ও সহজ উৎস হল সবুজ সার যা অনায়াসেই ব্যবস্থা করা যায় প্রাক বর্ষার সুযোগ নিয়ে আমন ধান চাষের আগে। আবার জলবায়ু পরিবর্তন জনিত উষ্ণায়নের প্রেক্ষাপটে মাটির ও পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রকে স্থিতিশীল ও জীবন্ত রাখতে আমন ধান চাষের আগে ধৈঞ্চে চাষ এক বিশেষ পরিবেশ বান্ধব উদ্যোগ।

মাটির উর্বরতা নির্ভর করে মাটির ভৌত ও রাসায়নিক গুণের উপর

(১) মাটির ভৌত গুণাবলি - প্রধানত মাটির উষ্ণতা, বায়ু চলাচল, জল ধারণ ক্ষমতা ও মাটির গঠন।

(২) মাটির রাসায়নিক গুণাবলি – যেমন ফসলের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অত্যাবশ্যকিয় পুষ্টি মৌলগুলির মাটিতে উপস্থিতি ও ফসলে যোগান, মাটির অম্লত্ব ও ক্ষারত্ব, লবণাক্ততা প্রভৃতি।

জৈব কার্বন হল মাটির প্রাণ যা গ্রহণ করে বেঁচে থাকে মাটির অসংখ্য উপকারি জীবাণু বা অনুজিব। মাটিতে ব্যবহৃত সার ফসল সরাসরি গ্রহণ করতে পারে না। মাটির এই অনুজীব সমূহ সারকে ভেঙে সহজ পুষ্টি কণায় রূপান্তর ঘটিয়ে ফসলের গ্রহণ যোগ্য করে তোলে ও সারের পৌষ্টিক ক্ষমতা (Fertiliser use Efficiency) বাড়ায়। তাই মাটিকে জীবন্ত রাখতে, জৈব কার্বনের মজুদকে সমৃদ্ধ করতে পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োগের প্রয়োজন যা সবুজ সার ধৈঞ্চে চাষের মাধ্যমে সহজেই পাওয়া যায়। ২-৩ ফসলি জমিতে বছরে একবার অন্তত যথেষ্ট পরিমানে জৈব সার দিতে হবে।

সবুজ সার হিসেবে ধৈঞ্চের উপকারিতা –

  • মাটির জো নির্নয় করে মাটির গঠন ও নমনীয়তাকে উন্নত করে ফলে মাটির জল ধারন ও পুষ্টি চলাচলের ক্ষমতা বাড়ে এবং বাতাস চলাচল সহজ হয়।
  • মাটিতে উপকারী জীবাণুর সক্রিয়তা বাড়ে ফলে ব্যবহৃত সারের উৎকর্ষতা বেড়ে যায় পুষ্টি মৌলের চুইয়ে যাওয়া কমে যাওয়ার ফলে সারের অপচয় কম হয়।
  • উপকারী জীবাণু ও অনুজীবের সক্রিয়তার ফলে সবুজ সার মাটির গভীর স্তরের পুষ্টি কণাকে উপরের স্তরে নিয়ে এসে ফসলে যোগান বাড়ায়।
  • অম্ল মাটির অম্লত্ব কমাতে ও কখনো কখনো লবনাক্ততা কমাতে সবুজ সার যথেষ্ট সহায়ক। বিঘা প্রতি প্রায় ১০-৩০ কুইন্টাল পর্যন্ত জৈব সার মাটিতে যোগ হয় যা মাটিকে প্রানবন্ত রাখে।
  • বাতাসের মুক্ত নাইট্রোজেন আবদ্ধ করে বিঘা প্রতি প্রায় ৮-১৩ কেজি নাইট্রোজেন পুষ্টি কণার যোগান দেয় যা ১৮-২৮ কেজি ইউরিয়ার সমান ফলে পরবর্তী ফসলে ইউরিয়ার সাশ্রয় হয়।
  • সবুজ সার জমিকে ঢেকে রাখায় ভুমিক্ষয় রোধ হয়, মাটির রস সংরক্ষিত থাকে, আগাছার উপদ্রব হয় না।

লেখক : শ্রী পার্থ ভট্টাচার্য, আঞ্চলিক অধিকর্তা, ইফকো

রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)

English Summary: green-manure-for-organic-cultivation
Published on: 04 June 2019, 05:58 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)