কৃষিকাজে নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করা হচ্ছে, যার কারণে কৃষকরা খুব সহজে কৃষিকাজ করতে পারছেন এবং এর থেকে ভালো আয়ও করছেন। একইভাবে অ্যাকোয়াপনিক্স কৌশল ব্যবহার করে চাষ করা হচ্ছে। একই সময়ে, জল সংকটের কারণে সংগ্রামরত অনেক রাজ্যের কৃষকদের জন্য অ্যাকোয়াপনিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষ করা খুবই লাভজনক হয়ে উঠছে। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে প্রচলিত চাষ ও শুঁটকি চাষের তুলনায় প্রায় ৯০ শতাংশ জল সাশ্রয় করা যায়। চলুন কৃষি জাগরণের এই প্রবন্ধে জেনে নেওয়া যাক, অ্যাকোয়াপনিক্স চাষ কী এবং কীভাবে করা হয়?
অ্যাকোয়াপনিক্স চাষ কি?
এই কৌশলে চাষের জন্য কম জায়গা এবং জলের প্রয়োজন হয়। অ্যাকোয়াপনিক্স চাষের জন্য দুটি ট্যাঙ্ক প্রস্তুত করা হয়, যার একটিতে মাছ চাষ করা হয় এবং অন্যটিতে ভাসমান কীবোর্ডে সবজি চাষ করা হয়। এই প্রযুক্তির অধীনে, এই দুটি ট্যাঙ্ক পাইপের সাহায্যে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করা হয়। এই প্রযুক্তি কৃষকদের জন্য খুবই উপকারী প্রমাণিত হচ্ছে, কারণ এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে কৃষকরা সহজেই দ্বিগুণ মুনাফা অর্জন করছে।
আরও পড়ুনঃ আখ থেকে ইথানল তৈরির ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠল, জেনে নিন কী কী সুবিধা পাবেন চাষিরা!
কিভাবে অ্যাকোয়াপনিক্স ফার্মিং করবেন?
অ্যাকোয়াপনিক্স পদ্ধতিতে সবজি চাষ করতে কৃষকদের কীটনাশক বা কোনো সারের প্রয়োজন হয় না। পানির মাধ্যমেই উদ্ভিদ চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য পায়। এই কৌশলটি ব্যবহার করে গাছ লাগানোর জন্য, আপনাকে প্রথমে একটি ছোট ট্রেতে গাছগুলি প্রস্তুত করতে হবে এবং তারপরে একটি ভাসমান বোর্ডে রাখতে হবে। পানিতে মাছ থাকার কারণে তাদের মলের কারণে পানিতে অ্যামোনিয়া বাড়তে থাকে এবং এই পানি সবজিযুক্ত ট্যাঙ্কে স্থানান্তরিত হতে থাকে।
জলের ভালো সাশ্রয় হবে
অ্যাকোয়াপনিক্স কৌশল ব্যবহার করে চাষ করে ভালো পরিমাণ জল সংরক্ষণ করা যায়। অন্য ট্যাঙ্কে জল ঢেলে গাছের মাটি জল থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শুষে নেয়। তারপর এই জল আবার মাছের ট্যাঙ্কে ফেলা হয়। এই প্রক্রিয়া বারবার করা হয়। এ কারণে চাষিদের জলবায়ু বা পরিবেশ বেছে নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে হবে না।