দেশি ফলের মধ্যে আমলকির পরে পেয়ারাতেই সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায়। স্ট্রবেরি পেয়ারার চাষ পদ্ধতি খুব সহজ। এই পেয়ারা ছাদ বাগানের জন্য উপযোগী। স্ট্রবেরি পেয়ারার গাছ ২-৬ মিটার পর্যন্ত বড় হয়ে থাকে।
টব বা ড্রামে স্ট্রবেরি পেয়ারার চাষ পদ্ধতি
স্ট্রবেরি পেয়ারা চাষ করার জন্য প্রথমে সঠিকভাবে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে বেলে দো-আঁশ মাটি সর্বোত্তম। প্রথমে ২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটির সাথে ১ ভাগ গোবর, ৪০-৫০ গ্রাম টিএসপি সার এবং ৪০-৫০ গ্রাম পটাশ সার দিয়ে ড্রাম বা টবে ভরে ১০-১২ দিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। অতঃপর মাটি কিছুটা খুচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫ দিন এভাবেই রেখে দিতে হবে । যখন মাটি ঝুরঝুরে হবে তখন একটি সবল সুস্থ চারা সেই টবে/ ড্রামে রোপণ করতে হবে।
আরও ুপড়ুনঃ Organic cow dung manure: দেখে নিন গোবর থেকে জৈব সার বানানোর নিয়ম
পেয়ারা গাছের কুশিভাঙা
সাধারণত বৈশাখ মাসে পেয়ারার চারা লাগানো হয়। এরপর ৮-৯ মাস বয়সের গাছে ফল আসে। অতিরিক্ত বৃদ্ধি কমানো এবং ডাল সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য কুশি ভেঙে দেওয়া হয়। কুশি ভাঙার ২০-২৫ দিনের মধ্যেই নতুন অতিরিক্ত কয়েকটি কুশি আসে। আর যত বেশি কুশি আসবে তত বেশি ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিবে।
আরও পড়ুনঃ Beet Root Farming - উপযুক্ত পরিচর্যার মাধ্যমে বাড়িতেই বীট চাষ করে হয়ে উঠুন লাভবান
সার প্রয়োগ
গাছের সঠিক বৃদ্ধি ও কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের জন্য গাছের বাড়ন্ত অবস্থায় ও ফুল ধরার সময় সঠিক মাত্রায় সার ব্যবহার করতে হবে।
চারা প্রাপ্তিস্থান
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন নার্সারিতে স্ট্রবেরি পেয়ারার চারা ৪৫০-৫৫০/- মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।