কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে মানুষ ঘরেই হাঁড়ি-পাতিল ও পাত্রে সবজি, ফল ও ফুল চাষ করছে। এই ধারাবাহিকতা বেড়েই চলেছে। আজ আমরা আপনাকে ঘরে বালতিতে ডালিম বাড়ানোর কৌশলটি বলব। ঠাণ্ডা মৌসুমে ঘরেই বালতিতে এই ফলটি চাষ করতে পারেন। ডালিম গাছের আকার ছোট হওয়ায় বাড়ির বারান্দায় ও উঠানে লাগানো যায়। আজ আমরা এই বিষয়ে কিছু তথ্য এবং পরামর্শ দেব।
আবহাওয়া
ডালিম বীজ রোপণের সর্বোত্তম সময় বসন্ত থেকে মধ্য গ্রীষ্ম পর্যন্ত। গরম এলাকায়, আপনি সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে এটি প্রয়োগ করতে পারেন। ডালিম গাছের ডালি থেকেও আপনি ফলাতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ Boka Rice: গরম নয় ঠাণ্ডা জলেই রান্না হয় এই চাল! জেনে নিন এই জাদুকরী ধানের কাহিনী
জল
ডালিম গাছে খুব কম পানি লাগে। এটি শুকনো জায়গায়ও চাষ করা যায়, তবে প্রাথমিক ২ থেকে ৪ সপ্তাহে আপনাকে এটির বিশেষ যত্ন নিতে হবে। মনে রাখবেন যে যখন গাছে ফুল ফোটা শুরু হয়, তখন প্রচুর জলের প্রয়োজন হয়। জলের অভাবে গাছের উৎপাদন ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
তাপমাত্রা
২৫ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ডালিমের বিকাশের জন্য অনুকূল বলে মনে করা হয়। যাইহোক, এটি কম তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। বালতিতে জন্মানো ডালিম গাছের জন্য প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা সূর্যালোক প্রয়োজন। এই গাছগুলি আংশিক ছায়াযুক্ত জায়গায়ও জন্মানো যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ভুট্টা ফসলে এই বিপজ্জনক পোকার আক্রমণ
রোগ প্রতিরোধ
ডালিম গাছে ফ্রুট বোরর, লিফরোলার ব্লাইট এবং হার্ট পচা ইত্যাদি রোগ দেখা দেয়। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে গাছে জৈব ছত্রাকনাশক, কীটনাশক ও নিমের দ্রবণ ব্যবহার করুন। এ ছাড়া গাছপালা নিয়মিত পরীক্ষা করতে থাকুন। একটি পাত্রে বেড়ে ওঠা এই উদ্ভিদের জন্য, এটি খুব লম্বা বা চওড়া হয়ে না যায় তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সেজন্য সময়ে সময়ে ছাঁটাই করতে থাকুন।
ফুল ফোটার সময়
ডালিম গাছ লাগানোর ৩ থেকে ৪ বছর পরই ফল ধরতে শুরু করে। ডালিম ফুল ফোটার ৬ থেকে ৭ মাস পর ফল পাকতে শুরু করে। যখন ফলের বাইরের আবরণ গাঢ় গোলাপী হয়ে যায়, তখনই তা তুলুন। ডালিম ফল ঠান্ডা জায়গায় কয়েকদিন রাখতে পারেন।