চাষের প্রতিটি মৌসুমই কৃষকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি চাষের মৌসুমের কথা বলি, তাহলে এর মধ্যে খরিফ, রবি ও জায়েদ মৌসুম রয়েছে। এই ঋতুগুলি বিভিন্ন মাস অনুসারে আসে, যেখানে বিভিন্ন ফসল চাষ করা হয়।
এসব ফসল চাষে বিভিন্ন রাসায়নিকও ব্যবহার করা হয়। এখন যদি আমরা কৃষিতে রাসায়নিক ব্যবহারের কথা বলি, তাহলে কৃষকরা ফসলের বেশি উৎপাদনের জন্য বেশি রাসায়নিক ব্যবহার করে। এর পাশাপাশি, অনেক সময় ফসলের ফলন অনেক কমে যায়, যার কারণে পোকামাকড়, রোগবালাই এবং আগাছার মতো অনেক কারণ রয়েছে। এই সবের জন্য কিছু কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।
যদি আমরা কীটনাশক সম্পর্কে কথা বলি , তবে তাদের প্যাকেটের পিছনে বিভিন্ন রঙ প্রিন্ট করা হয়। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে এই রঙগুলি কীটনাশক রাসায়নিকের গতি সম্পর্কে অনেক তথ্য দেয়। অর্থাৎ এই রং দিয়ে কৃষকরা জানতে পারবেন ফসলের জন্য কীটনাশক কতটা মারাত্মক। তাই আজ আমরা কৃষক ভাইদের জন্য লাল, হলুদ, সবুজ এবং নীল রং সম্পর্কে বলব যে, কীটনাশকের প্যাকেটে যদি এই তিনটি রঙের যে কোনো একটি প্রিন্ট করা হয়, তাহলে এর অর্থ কী।
লাল রং
কৃষক ভাইয়েরা জেনে রাখি, বিষের গতি মাপার স্কেলে লাল রংকে সবচেয়ে দ্রুত বলে মনে করা হয়। অর্থাৎ, কীটনাশকের প্যাকেটের পিছনে যদি লাল রঙ থাকে, তবে তা দ্রুততম কীটনাশক রাসায়নিকের ক্যাটাগরিতে আসে। এটি থেকে অনুমান করা যায় যে এটির মাত্র 1.50 মিলিগ্রাম প্রতি কেজি ওজনের একটি পশুকে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
হলুদ রং
এখন লাল রঙের পরে হলুদ রঙ আসে, তাই বলে রাখি এই রং বিষের গতি মাপার স্কেলে দ্বিতীয় স্তরের বিপদ নির্দেশ করে। অর্থাৎ কী পরিমাণ ব্যবহার করতে হবে তা কীটনাশকের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে।
নীল রঙ
যদি আমরা কীটনাশক সম্পর্কে কথা বলি, যার প্যাকেটের পিছনে একটি নীল রঙ রয়েছে, তবে এটি একটি রঙ যা মাঝারি গতি নির্দেশ করে। কত পরিমাণে এই রঙিন কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে, প্যাকেট থেকেই জানতে পারবেন।
সবুজ রং
সবুজ প্যাকেট হল সবচেয়ে কম শক্তিশালী কীটনাশক রাসায়নিক। অর্থাৎ, এটি সর্বনিম্ন দ্রুত কীটনাশক।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন ছাগল পালন থেকে আয় বাড়ানোর সহজ উপায়