বিভিন্ন সময়ে অনেক কারণ বশতই কৃষকদের আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই লকডাউনের সময় তাদের যথেষ্টই অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল। কেন্দ্র আশ্বাস দেয় কৃষকদের পাশে থাকার। গত বুধবার (১৫ ই এপ্রিল ২০২০)-এ কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দেশব্যাপী লকডাউন চলাকালীন কেন্দ্র বারোটি রাজ্যে কৃষকদের ২,৪২৪ কোটি টাকার ত্রাণ সরবরাহ করেছে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তারা এই চলমান লকডাউনের সময়ে কৃষকদের ত্রাণ সরবরাহের পাশাপাশি খেতে কৃষিকাজের সুবিধার জন্যও অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
‘প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা’ বা পিএমএফবিওয়াই শুরু হয় ২০১৬ সালে। এই প্রকল্পেরর আওতায় দেশের বারোটি রাজ্যের সুবিধাভোগী কৃষকদের ২,৪২৪ কোটি টাকার ত্রাণ সরবরাহ - মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ কৃষকদের জন্যে সত্যি অভাবনীয়।
‘কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প’ আর্থিক সেবা বিভাগের সহযোগিতায় কৃষি মন্ত্রক দ্বারা শুরু করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি যোজনা (প্রধানমন্ত্রী-কিষাণ) -এর সকল সুবিধাভোগী কৃষককে সুরক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে। কৃষক স্বর্ণ লোণ এবং অন্যান্য কৃষি অ্যাকাউন্টগুলি কিষাণ ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টে রূপান্তর করার জন্য শেষ নির্ধারিত ছিল তারিখটি ৩১ শে মার্চ, তবে এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩১ শে মে।
মোদী সরকারের ‘প্রধানমন্ত্রী শস্য বীমা’ প্রকল্পে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন এই প্রকল্পটি কৃষকদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী। ফসলের বীমার জন্য প্রিমিয়াম হ'ল- খরিফ ফসলের উপর ২ শতাংশ, রবি ফসলের উপর ১.৫ শতাংশ এবং উদ্যান নগদ ফসলের ৫ শতাংশ। এছাড়াও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে প্রিমিয়ামের ৯৮ শতাংশ প্রদান করে। এর অর্থ কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়া হয়। তবে এই ভর্তুকি ৫০- ৯০ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর ফসল বিমা যোজনা সম্পর্কিত আরও তথ্যের জন্য, নিম্নে প্রদত্ত ওয়েবসাইটে লগ ইন করুন -
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)