১ থেকে ৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে 'মিলিয়নেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া' অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন জেনে নিন গরু ও মহিষের জন্য সস্তায় খাবার প্রস্তুত করুন, বিস্তারিত জেনে নিন স্বল্প পরিসরে মাছ চাষ করুন, রইল সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা
Updated on: 3 May, 2019 5:46 PM IST

কোন ফসলের পোকা মাকর মিলে যে পরিমান ক্ষতি করে এবং এই ক্ষতির মাত্রাটিকে যদি ১০০ শতাংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় তবে ৩০-৪০% ক্ষতি আগাছার কারণেই ফসলের হয়। আগাছা মূলতঃ তিন ধরনের হয়ে থাকে।
ক)ঘাস জাতীয়-যেমন-: Cynodon dactylon, Elusine indica, Echinochloa colonum.
খ)মুথা জাতীয় : Cyperus rotundus.
গ)চওড়া পাতা জাতীয়: Digera arvenus, Celosia argentia.
এই আগাছা গুলি কে সুসংহত উপায়ে দমন ৪ভাবে করা যেতে পারে:


১.পরিচর্যা পদ্ধতির মাধমে: যেমন আগাছা মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে, খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে এমন ফসলের চাষ করতে হবে।একই ধরনের ফসল বার বার না করে শস্য পর্যায় অনুযায়ী ফসল নিবার্চন করতে হবে।জমি ফেলে না রেখে অনবরত জমি চাষ করা, গ্রীষ্ম কালীন লাঙ্গল দেওয়া, জমি প্রয়োজনে জলে ডুবিয়ে রাখা, অথবা জমি পতিত রেখে বার বার কর্ষণ করা ইত্যাদির মাধমে আগাছা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

খ)যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে: প্রাচীন ও উপযোগী পদ্ধতি হলো হাত দিয়ে টেনে অথবা খুরপি দিয়ে আগাছা তোলা। সাধারন ভাবে সমস্ত ফসলের ক্ষেত্রে ২/৪টি হাত নিড়ানি দেবার প্রয়োজন। এছাড়া লাঙল, হুইল, উইডার, কালটিভেটর প্রভৃতির মাধ্যমে আগাছা মাটিতে মিশিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।পতিত জমিতে আগাছা কেটে পুড়ে দেওয়া যেতে পারে।এছাড়া খড়, জঞ্জাল সার, কুচুরিপানা ইত্যাদি মাটির উপরে বিছিয়ে দিয়েও আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
গ)জৈবিক পদ্ধতি: এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যা মাটির স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী হিসেবে দেখা হয়।এই পদ্ধতিতে আগাছা গুলিকে প্রাকৃতিক শত্রু যেমন রোগ পোকা(বায়োএজেন্ট) অথবা অন্য প্রাণীকেও ব্যবহার করে আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কুচুরিপানা র জন্য নিয়চিটিনা প্রজাতি র,পার্থেনিয়ামর জন্য ক্রিটোব্যাগাস ও জাইসাম প্রজাতির, ল্যানটানার জন্য টিলিও লিমা প্রজাতির পোকা ব্যবহার করে সাফল্য পাওয়া যায়।দুধিকানি, বিছুটি, ঘেটু হলদে মোজাইক ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে নিয়ন্ত্রণে আসে, এক জাতীয় স্পাইডার মাইট আগাছা দমনে সাহায্য করে। এছাড়া প্রতিদিন এখন অনেক কার্য্যকরী জৈবিক আগাছা নাশক বের হচ্ছে।
ঘ)রাসায়নিক পদ্ধতি: এটি অতি দ্রুত কার্য্যকরী একটি পদ্ধতি। সঠিক সময়ে এবং সঠিক মাত্রায় যে ফসলের জন্য সুপারিশ করা হয় কেবল মাত্র সেটি প্রয়োগ করা যায় তবে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তবে ভুল প্রয়োগ করলে অন্যান্য ফসল, জীব জন্তু সহ মাটির প্রভূত ক্ষতির স্বম্ভাবনা।
এই আগাছা নাশক সাধারণত দুই ধরণের :নির্বাচিত এবং অনির্বাচিত। নির্বাচিত আগাছা নাশক কেবলমাত্র বিশেষ বিশেষ আগাছা গুলিকে মেরে ফেলে।অনির্বাচিত আগাছা নাশক জমির সমস্ত গাছকে মেরে ফেলে।

এই আগাছা নাশক সাধারণত গুঁড়ো আর তরল আকারে পাওয়া যায়।এগুলি বলি অথবা জলের সাথে গুলে জমিতে প্রয়োগ করা হয়। এগুলি ফসলের তিনটি ভিন্ন সময়ে প্রয়োগ করা যায়:
১.ফসলের বীজ বোনার আগে,
২.ফসলের বীজ বোনার বা চারা রোযার পর ও আগাছা জন্মানোর ঠিক আগে।
৩.ফসল ক্ষেতে আগাছা জন্মানোর পর।
রাসায়নিক পদ্ধতি ব্যবহার করার আগে কিছু কিছু নিষিদ্ধ আগাছা নাশক চোৱা বাজারে আজো চলেছে সেগুলি থেকে চাষী ভাইদের সতর্ক থাকতে হবে। কোন ফসলে কোন আগাছা নাশক কত পরিমানে দিতে হবে এটি বিস্তারিত জানার জন্য লক্ষ রাখুন আমাদের পত্রিকার পরবতী সংখ্যা গুলিতে।
অমর জ্যোতি রায়(amarjyoti@krishijagran.com)

 

 

 

English Summary: integrated-weed-management
Published on: 03 May 2019, 05:46 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)