পশ্চিমবঙ্গের ছোট শিল্প: হ্যান্ডলুম থেকে টেরাকোটা রোজ বদলাচ্ছে আকাশের মেজাজ: দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update of Bengal) ক্যাপসিকাম চাষে ফলন ভালো, লাভ নেই! সরকারি সাহায্যের অভাবে ক্ষোভে চাষিরা
Updated on: 18 July, 2020 10:51 AM IST

ধান ক্ষেতে নানা উপকারী বন্ধু পোকা থাকে যারা অনিষ্টকারী পোকামাকড়কে খেয়ে  ফেলে। বহুযুগ ধরে এরাই আগে ফসলকে শত্রুপোকার হাত থেকে রক্ষা করত। এরা গাছের উপরের দিকে থাকে । শত্রুপোকারা গাছের নিচের দিকে / ভিতরে থাকে। জমিতে যথেষ্ট বন্ধুপোকা থাকলে শত্রুপোকা বাড়তে পারে না।

ধান জমির পরভোজী বন্ধুপোকারা হল – মাকড়সা, টিপপোকা, ফড়িং, অ্যাসাসিন বাগ, পিপড়ে, ঘাশ ফড়িং এছাড়া ধান জমির জলের বন্ধুপোকা যেমন – হাসপোকা, জল মাকড়সা, মেসোভিলিয়া, মাইক্রোভিলিয়া ইত্যাদি।

ধানজমির অন্যান্য পরজীবি পোকা যেমন – বিভিন্ন ধরনের বোলতা ও মাছি।

এই সব বন্ধুপোকারা ধান জমিতে জলে ও গাছে সর্বদা ঘুরে বেড়ায় । এদের চিনতে না পেরে আমরা অনেক সময় কীটনাশক প্রয়োগ করে ধ্বংস করি। এদের সংরক্ষণ একান্ত প্রয়োজন। এদের চিনুন ও অপর চাষিবন্ধুদের চেনান।

 শত্রুপোকা ও বন্ধুপোকার অনুপাত ২ : ১ থাকলে কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না । কিন্তু নিয়মিত জমি পরিদর্শণের প্রয়োজন হয়। যদি শত্রুপোকার সংখ্যা বেড়ে যায় তবে দরকারমতো সঠিক মাত্রায়, সঠিক জায়গায়, সঠিক রাসায়নিক বিষ ব্যবহার করুন। সমগ্র জমিতে বিষ না ছড়িয়ে যেখানে রোগ পোকা লেগেছে সেই জায়গায় প্রয়োগ করুন।

রুনা নাথ,

তথ্য সূত্র: কৃষি দপ্তর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

English Summary: IPM for rice field
Published on: 05 June 2018, 10:38 IST