ভারত একটি কৃষিপ্রধান দেশ, এখানে জলবায়ুর উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করা হয়। দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। ভারতীয় কৃষি জলবায়ু অনুসারে বিভক্ত। এখানে কৃষিকাজকে তিনটি ঋতুতে বিভক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে রবি, খরিফ ও জায়েদ মৌসুম। আজও ভারতে অনেক কৃষক আছেন যারা জমি থাকার পরও কৃষিকাজ করতে পারছেন না, কারণ অনুর্বর জমির কারণে ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে না। অনুর্বর জমিতে চাষাবাদের কারণে ফসলের সব ধরনের পুষ্টি পাওয়া যায় না এবং ফলনও কমে যায়। কিন্তু ভারতে এমন কিছু প্রযুক্তি রয়েছে, যা গ্রহণ করে আপনিও অনুর্বর জমিকে উর্বর করে তুলতে পারেন।
চলুন কৃষি জাগরণের এই প্রবন্ধে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে অনুর্বর জমিকে উর্বর করা যায়?
মাটি পরীক্ষা এবং সংশোধন
অনুর্বর জমি চাষের উপযোগী করতে প্রথমে মাটি পরীক্ষা করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি আপনার খামারের মাটি দুর্বল হয়, তাহলে এর উর্বরতা বাড়াতে সার এবং ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে ভারসাম্য তৈরি করুন।
আরও পড়ুনঃ ভারতের শীর্ষ ১০টি মূলা উৎপাদনকারী রাজ্য, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ
জলের ব্যাবস্থা
অনুর্বর জমি সৃষ্টির পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো জলের। অনুর্বর জমিকে চাষের উপযোগী করতে সময়ে সময়ে সেচ দিতে হবে। এ ছাড়া জমিতে সঠিকভাবে জল সরবরাহ নিশ্চিত করতে সেচ পদ্ধতি ব্যবহার করুন। বীজ বপনের আগে ক্ষেত ভালো করে ভেজাতে হবে।
বীজ নির্বাচন
বীজ নির্বাচন করার সময়, আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি উন্নত এবং স্থানীয় বীজ নির্বাচন করছেন। আপনার এলাকার মাটি, জলবায়ু এবং অন্যান্য স্থানীয় অবস্থার কথা মাথায় রেখে বীজ নির্বাচন করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ মুলোর গুন জানলে অবাক হবেন, দেখে নিন চাষ পদ্ধতি
সঠিক সার ব্যবহার
অনুর্বর জমিকে চাষের উপযোগী করতে সময়ে সময়ে সঠিক পরিমাণে সার ব্যবহার করতে হবে। এর জন্য আপনি কম্পোস্ট, সার এবং গোবর ইত্যাদিও ব্যবহার করতে পারেন।
কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা
পোকামাকড় এবং রোগের আক্রমণ থেকে আপনার ক্ষেত রক্ষা করার জন্য আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম কীটনাশকগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করার পর জমিতে ব্যবহার করা উচিত।
বপন করার সঠিক সময়
ভাল ফলনের জন্য, সঠিক সময়ে আপনার জমিতে বীজ বপন করা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার স্থানীয় আবহাওয়া এবং জলবায়ু অনুযায়ী সঠিক সময়ে বপন করা উচিত।
ফসলের যত্ন
আপনি সময়ে সময়ে আপনার খামারের ফসলের যত্ন নিতে হবে, যেমন সার প্রয়োগ করা এবং জমিতে জল দেওয়া। এ ছাড়া কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আগাছা নিয়ন্ত্রণের দিকেও নজর দিতে হবে।