পশ্চিমবঙ্গের ছোট শিল্প: হ্যান্ডলুম থেকে টেরাকোটা রোজ বদলাচ্ছে আকাশের মেজাজ: দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update of Bengal) ক্যাপসিকাম চাষে ফলন ভালো, লাভ নেই! সরকারি সাহায্যের অভাবে ক্ষোভে চাষিরা
Updated on: 19 July, 2020 4:25 PM IST

কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার বা ধান কাটা-ঝাড়ার মেশিন ব্যবহার করে ধান কাটা বা ঝাড়ার পর জমিতে বড় বড় নাড়া ও খড়ের টুকরো পড়ে থাকে। এই নাড়া আগুন লাগিয়ে পোড়ালে পরিবেশ ও চাষের জমি দুই এর ব্যপক ক্ষতি হয়। এর তাপ ও ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ হয় ও উষ্ণায়ণ ঘটে।

খরের নাড়া পোড়ালে যে তাপ উৎপন্ন হয় তাতে মাঠের ও গ্রামের বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ক্ষতি হতে পারে এর ফলে মাঠে ও গ্রামে  বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। এর থেকেও ভয়ঙ্কর ক্ষতি হল এর তাপ ও ধোঁয়ায় মাটির মধ্যে বসবাসকারী জীবাণু, কেঁচো ও বিভিন্ন উপোকারি পোকারা মারা পড়ে এবং মাটি পুড়ে শক্ত হয়ে যায়।  পুরে যাওয়া মাটিতে সার প্রয়োগ করলেও উপোকারি জীবানুর অভাবে ফসলের খাবার মাটি থেকে গাছে পৌঁছানোর উপযোগী হয়ে উঠতে পারে না  । এর ফলে মাত্রাতিরিক্ত সার প্রয়োগ করেও কোন সুফল পাওয়া যায় না। শুধু সার ও টাকার অপচয় হয়। তাই না পুড়িয়ে ধান জমিতে পড়ি থাকা নাড়া বা খর জমির আল বরাবা জমাকরে রাখতে হবে। খর পচিয়ে বা পুড়িয়ে জমির মাটির সঙ্গে মেশানো যেতে পারে। মাশরুম চাষ, গবাদি পশুর খাদ্য, ভার্মিকমপোস্ট তৈরি অথবা গৃহস্থলীর জ্বালানী হিসাবে খড় ব্যবহার করা যেতে পারে। খড় না পুড়িয়ে তা বিকল্প অন্যন্য কাজে ব্যবহার করে মাটির স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন।

- রুনা নাথ

English Summary: Khor agun
Published on: 21 August 2018, 07:47 IST