কৃষিজাগরন ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে,বেশিরভাগ মানুষ চাকরির পাশাপাশি তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে চায়। যাতে কম সময়ে বেশি আয় করা যায়। এই পর্বে, আজ আমরা আপনাদের জন্য এমন একটি ব্যবসা নিয়ে এসেছি, যেটি শুরু করে আপনি অল্প দিনেই লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। আজ আমরা তামাকের ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাই আসুন আজকের নিবন্ধে তামাক ব্যবসা সংক্রান্ত সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক ।
আপনাদের অবগতির জন্য বলে রাখি যে, প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ তামাক সেবন করে এবং একই সাথে তামাক অন্যান্য অনেক কাজেও ব্যবহৃত হয়, যেমন পূজার উপকরণ এবং অনেক ধরনের ওষুধ তৈরিতেও তামাক কাজে লাগে।
আরও পড়ুনঃ শণের বীজ উৎপাদন পদ্ধতি
তামাক ব্যবসা শুরু করতে হলে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। এ জন্য বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে তামাক বোর্ড থেকে এর লাইসেন্স দেওয়া হয়। তামাক ব্যবসার লাইসেন্সের প্রক্রিয়াকে সহজ ও সুবিধাজনক করতে বিভাগ কর্তৃক একটি দেশব্যাপী পোর্টালও চালু করা হয়েছে, যার ফলে ব্যক্তিকে তামাকের লাইসেন্স পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয় না এবং এর সাথে সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সহজেই পাওয়া যায়।
কেন তামাক লাইসেন্স জারি করা হয়?
সরকার কর্তৃক এই লাইসেন্স প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো, সারাদেশে তামাক বিক্রি ও কেনার সংখ্যা। এর অ্যাকাউন্টিং থেকে শুরু করে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন তামাক পণ্যের রপ্তানিকারক, তামাক রপ্তানিকারক, তামাক বিক্রেতা, ভার্জিনিয়া তামাকের প্রসেসর, ভার্জিনিয়া তামাকের প্রস্তুতকারক ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ এক ক্লিকে মাশরুমের উন্নত জাতের সম্পূর্ণ বিবরণ পড়ুন
তামাক লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
-
ব্যাংক একাউন্ট নম্বর
-
জিএসটি নম্বর
-
সরকারি আইডি যেমন প্যান কার্ড, আধার কার্ড ইত্যাদি।
-
ঠিকানার প্রমাণপত্র
-
গুদামের কাগজপত্র
-
মোবাইল নম্বর
তামাক লাইসেন্সের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন
তামাকের লাইসেন্স পৌরসভা, পৌর কর্পোরেশন বা সিটি কাউন্সিল দ্বারা জারি করা হয়। অতএব, উপরে উল্লিখিত এই সমস্ত নথিগুলির ফটোকপিগুলি আপনার নিকটস্থ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে জমা দিন, যাতে তারা নিশ্চিত করতে পারে যে আপনি যে এলাকায় তামাকের দোকান বা খামার খুলতে যাচ্ছেন সেটি সঠিক জায়গায় আছে কি না । তদন্তের পর বিভাগ থেকেই আপনাকে তামাক ব্যবসা শুরু করার লাইসেন্স দেওয়া হবে।
তামাক লাইসেন্সের জন্য আবেদন ফি
আপনি যদি শুধুমাত্র তামাক বিক্রির লাইসেন্স চান, তাহলে এর জন্য আপনাকে রেজিস্ট্রেশনের সময় 7200 টাকা পর্যন্ত আবেদন ফি দিতে হবে।
এছাড়া পাইকারি দোকানদারদের জন্য এই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা।প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই লাইসেন্সের জন্য, অস্থায়ী দোকানের জন্য প্রতি বছর নিবন্ধনের জন্য ২০০ টাকা এবং স্থায়ী দোকানের জন্য প্রতি বছর ১০০০ টাকা দিতে হবে।