'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 19 May, 2021 10:42 AM IST
Sunflower cultivation (Image Credit -Google)

দিগন্তবিস্তৃত সূর্যমুখী ক্ষেতের দিকে চেয়ে থাকতে কার না ভালো লাগে। সূর্যমুখী ফুল যেমন দেখতে মনোরম তেমনি এর নিষ্কাশিত তেল পুষ্টিগুণেও ভরপুর। বহু চাষিভাই সূর্যমুখী চাষ করে উপকার পেয়েছেন। এই ফুলের চাষ করার পদ্ধতি যেমন সহজ, তেমনই এই ফুলের চাষের থেকে অর্থকরী লাভও কম নয়।

আসুন জেনে নেওয়া যাক সূর্যমুখী চাষের পদ্ধতি। সূর্যমুখী ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Helianthus annuus। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়ে থাকে। এর বীজ থেকে প্রস্তুত হওয়া তেল ভোজ্য তেল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এর চাষ লক্ষ্য করা যায়।

সূর্যমুখী চাষের পদ্ধতি (Cultivation Method) - 

সূর্যমুখীর চাষ মধ্য-নভেম্বর থেকে মধ্য-ডিসেম্বর অর্থাৎ অগ্রহায়ণ মাসেই করাই ভালো। এর ফলে অধিক ফলনের লাভ থাকে। খরিপ-১ মৌসুমে অর্থাৎ মধ্য-এপ্রিল থেকে মধ্য-মে মাসও এই চাষের উপযুক্ত সময়।

বীজ সংগ্রহের নিয়ম:

বীজ পোঁতার থেকে পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত ৯০-১১০ দিনের মাথায় সূর্যমুখীর বীজ সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আদর্শ সময়।

সূর্যমুখী বীজ বপন পদ্ধতি:

এই চাষের আদর্শ নিয়ম সারি করে সূর্যমুখীর বীজ বোনা। একটা সারি থেকে  আরেকটা সারির দূরত্ব কমপক্ষে ৫০ সেমি হওয়া উচিত। প্রতি সারিতে গাছের দূরত্ব ২৫ সেমি রাখলে ভালো। এই নিয়মানুযায়ী বীজ পোঁতা হলে প্রতি হেক্টর ৮-১০ কেজি বীজের দরকার পড়বে।

 

সার প্রয়োগের নিয়ম:

  • হেক্টর প্রতি ইউরিয়া ১৮০-২০০ কেজি,

  • হেক্টর প্রতি টিএসপি ১৫০-২০০ কেজি,

  • হেক্টর প্রতি এমপি ১২০-১৫০ কেজি,

  • হেক্টর প্রতি জিপসাম ১২০-১৭০,

  • হেক্টর প্রতি জিংক সালফেট ৮-১০ কেজি,

  • হেক্টর প্রতি বরিক এসিড ১০-১২ কেজি,

  • হেক্টর প্রতি ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ৮০-১০০ কেজি

অর্ধেক ইউরিয়া সার এবং বাদবাকি অন্যসব সার শেষবার চাষের সময় জমিতে ছিটিয়ে দিয়ে ভালো করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। বাদবাকি যে ইউরিয়া পড়ে রয়েছে তা দুই ভাগে, চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পরে, বাকিটা  ৪০-৪৫ দিন পর অথবা ফুল ফোটার আগে ব্যবহার করতে হবে।

রোগবালাই ও প্রতিকার:

সূর্যমুখী চাষে পাতা ঝলসানো রোগটি ভীষণ ভাবে ক্ষতিকর। অলটারনারিয়া হেলিয়াস্থি নামক ছত্রাকের আক্রমণে প্রথমে সূর্যমুখীর পাতায় গাঢ় বাদামি রঙের দাগ পড়ে। পরে ওই দাগ বড় দাগের সৃষ্টি করে। অবশেষে পাতা পুরোপুরি ঝলসে যায়।

শিকড় পচা রোগ সূর্যমুখী চাষের আরও এক অন্তরায়। স্কেলেরোশিয়াম রলফসি নামক ছত্রাকের আক্রমণে এই রোগ হয়ে থাকে। এর ফলে  গাছের গোড়া আক্রান্ত হয়ে পড়ে এবং সাদা তুলার মত ছত্রাকের মাইসেলিয়াম এবং গোলাকার দানার মত স্কেলেরোশিয়াম ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে দিকে গাছ নেতিয়ে পড়ে এবং কিছুদিনের মধ্যে সব গাছ শুকিয়ে মারা যায়।

তাই এই রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোভরাল-৫০ ডবি্লউ পি (২%) জলে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার জমিতে স্প্রে করলে এই রোগ মুক্ত হয়। ফসল কেটে নেওয়ার পর গাছের পড়ে থাকা অংশ পুড়িয়ে ফেললে এই রোগ চলে যায়।

আরও পড়ুন - জেনে নিন চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম

সূর্যমুখীর শিকড় পচা রোগ প্রতিকারের উপায়:

ভিটাভেক্স-২০০ দিয়ে মাঠ শোধন করলে এই রোগের বিস্তার আটকানো যায়।  জমিতে জল থাকলে এই জাতীয় ছত্রাক বেঁচে থাকতে পারে না। রোগ আক্রমণ করলে জমিতে প্লাবন সেচ দিলে এই প্রকোপ কমে।

নিবন্ধ - কৌস্তভ গাঙ্গুলী

আরও পড়ুন - সয়াবিন চাষ করে লাভ ঘরে তুলতে পারেন কৃষকরা

English Summary: Learn Sunflower farming procedure and earn double
Published on: 18 May 2021, 06:34 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)