কৃষিজাগরন ডেস্কঃ প্রতিদিনই কৃষিতে নতুন নতুন গবেষণা হচ্ছে, যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকদের কাজকে সহজ করে তুলছে। এই কৃষি গবেষণা ল্যাব থেকে মাটি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু এখন মহাকাশেও কৃষি নিয়ে বড় গবেষণা হতে চলেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজ্ঞানীরা এখন মহাকাশে টমেটো চাষ নিয়ে গবেষণা করছেন। এ জন্য পৃথিবী থেকে কিছু টমেটো গাছ ও বীজও পাঠানো হয়েছে মহাকাশযানে। মহাকাশের পরিবেশেও এসব ফসল জন্মানো যায় কিনা তা জানাই এই গবেষণার উদ্দেশ্য। যদি হ্যাঁ, তাহলে মহাকাশে জন্মানো টমেটো কতটা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হবে এবং এর স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব পড়বে তা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে মহাকাশে টমেটো চাষ নিয়ে গবেষণা চলছে।
নাসার পাঠানো মহাকাশযান
টুইটারের মালিক ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স এই গবেষণা চালিয়েছে। এর জন্য ২৩শে নভেম্বর নাসার কেনেডি রিসার্চ সেন্টার ফ্যালকন-৯ নামে একটি মহাকাশযান মহাকাশে পাঠিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মহাকাশ জাহাজটি এখন আইএসএস অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছেছে। ফ্যালকন-৯ নামের এই মহাকাশযানে ৩,৫০০ কেজি কার্গোও রয়েছে, যাতে টমেটোর বীজও পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ যত্নের অভাবে মারা যাচ্ছে একের পর এক মূল্যবান গাছ
Falcon-9 মহাকাশ জাহাজে পাঠানো টমেটোর বীজ থেকে, ISS-এ উপস্থিত মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বামন উদ্ভিদ জন্মাবেন এবং টমেটো উৎপাদনের চেষ্টা করবেন। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য, ISS-এর মহাকাশ বিজ্ঞানী 'Veg-05' নামে একটি মিশন শুরু করেছেন, যার মূল উদ্দেশ্য হল মহাকাশে পুষ্টিকর খাবারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুনঃ শীতের পোশাক না পেয়ে ক্ষুব্ধ মমতা! রেগে গিয়ে ভাষণ ছেড়ে বসলেন মঞ্চে
স্পেস এক্স এবং নাসার এই যৌথ মিশন, মহাকাশচারীদের জন্য সহায়ক , মহাকাশে বসবাস করা অনেকগুণ সহজ করে তুলবে। এই অভিযান সফল হলে পৃথিবী থেকে প্রেরিত খাদ্যের ওপর মহাকাশচারীদের নির্ভরতা কমবে এবং তারা মহাকাশের মাধ্যাকর্ষণে শাকসবজি চাষ করে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবে। এই মিশনটিকে ভবিষ্যতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবেও বিবেচনা করা হয়, যদিও এটি মহাকাশে শাকসবজি চাষ বা কৃষি সম্পর্কিত গবেষণার প্রথম মিশন নয়। এর আগেও চীনা মহাকাশচারীরা মহাকাশে চাল এবং বাঁধাকপি এবং ব্রাসেলস স্প্রাউটের মতো সবুজ শাকসবজি চাষে সফল হয়েছে।