কাশ্মীর জাফরান চাষের জন্য বিখ্যাত। জাফরান চাষ করে এখানকার কৃষকরা প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা আয় করেন। তবে মাঝে মাঝে আবহাওয়ার কারণে কৃষকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ কারণে এখানকার কৃষকরা এখন জাফরানের ইনডোর চাষের কৌশল শিখছে। এতে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ইনডোর ফার্মিংয়ে উৎপাদিত জাফরানের গুণমান সবচেয়ে ভালো এবং এর দামও ভালো পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ সাফল্যের পথ দেখাচ্ছে মাটি ছাড়া চাষ
-
বাড়ির ভিতরে জাফরান চাষ করা হয়, তাই কৃষকদের প্রতিদিন মাঠে যেতে হয় না।যে কারণে প্রতিদিন খামারে যাওয়ার পরিশ্রম বেঁচে যায় ।
-
জাফরানের চাষে সেচের প্রয়োজন হয় না। ইনডোর ফার্মিংয়ে, ছোট ঘরেও ভালো ফলন পাওয়া যায়। এতে কৃষকদের লাভ বেশি হয়।
-
বদ্ধ ঘরের ভিতরেই ইনডোর ফার্মিং করা হয়, তাই আবহাওয়ার পরিবর্তন খুব একটা প্রভাব ফেলে না।
-
খোলা পরিবেশে চাষ করা জাফরানের থেকে ইনডোর ফার্মিংয়ের মাধ্যমে উৎপাদিত জাফরানের গুণমান ভালো হয়। কৃষকরা এর জন্য ভালো দাম পান।
কাশ্মীরের কৃষক মাজিদ ওয়ানি, যিনি জাফরানের ইনডোর ফার্মিং করেন, তিনি বলেন, জাফরানের ইনডোর ফার্মিংয়ের জন্য, একটি অন্ধকার ঘরের প্রয়োজন । ইনডোর ফার্মিং-এর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যে ঘরে জাফরানের ইনডোর চাষ করা হচ্ছে, সেখানে আলো যেন একেবারেই না পৌঁছায়। অভ্যন্তরীণ চাষের জন্য, জাফরান স্ট্র্যান্ডগুলি একটি বন্ধ অন্ধকার ঘরে তিন মাসের জন্য রাখা হয়। জাফরান তিন মাস পর ফসল তোলার জন্য প্রস্তুত। এটির জন্য ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রা প্রয়োজন। ঘরে আলো এলে জাফরান নষ্ট হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ ফুলের সাম্রাজ্য ক্ষীরাইয়ে নেমে এসেছে অন্ধকার! অতিষ্ঠ জনজীবন, ফুল চাষে ব্যাঘাত, কিন্তু কেন?
মাজিদ ওয়ানি বলেছেন যে তিনি প্রথম পরীক্ষা হিসাবে জাফরানের অন্দর চাষ শুরু করেছিলেন। এরপর সফলতা পেলে অন্য কৃষকদেরও এ বিষয়ে সচেতন করা হয় এবং উৎসাহিত করা হয়। এখন এখানকার অনেক কৃষক ইনডোর ফার্মিং করছেন। এতে চাষাবাদের জন্য জমি কম আছে এমন কৃষকরাও উপকৃত হচ্ছে। এখন ছোট ঘরেও জাফরান চাষ করে ভালো আয় করছেন কৃষকরা। এই প্রযুক্তি এখানকার কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হতে পারে।