পশ্চিমবঙ্গের ছোট শিল্প: হ্যান্ডলুম থেকে টেরাকোটা পশ্চিমবঙ্গের ছোট শিল্প: হ্যান্ডলুম থেকে টেরাকোটা রোজ বদলাচ্ছে আকাশের মেজাজ: দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update of Bengal) রোজ বদলাচ্ছে আকাশের মেজাজ: দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update of Bengal) ক্যাপসিকাম চাষে ফলন ভালো, লাভ নেই! সরকারি সাহায্যের অভাবে ক্ষোভে চাষিরা ক্যাপসিকাম চাষে ফলন ভালো, লাভ নেই! সরকারি সাহায্যের অভাবে ক্ষোভে চাষিরা
Updated on: 13 September, 2022 2:55 PM IST
প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

কৃষিজাগরন ডেস্কঃ শণ একটি অর্থকারি ফসল যা শিম্বগোত্রৌয় শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত এবং প্রাকৃতিক তন্তুর উৎস৷ এই গাছের ইংরেজী নাম ‘সানহেম্প’ (sunnhemp), ‘ইন্ডিয়ান হেম্প’ (Indian-hemp), ‘মাদ্রাজ হেম্প’ (madras-hemp) এবং ‘ব্রাউন হেম্প’(brown hemp)৷ শণের তন্তু তথা বাস্ট ফাইবার হলুদ, মোটা, শক্তিশালী এবং টেকসই যা দড়ি, সুতো, মাছ ধরার জাল, বিশেষ প্রকারের কাপড় ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ৷

উচ্চ সেলুলোজ, কম লিগনিন এবং নগণ্য ছাইজাতীয় সামগ্রীর কারণে এই ফসলটিকে নোট ছাপার কাগজ, ‘টিস্যু পেপার’ এবং সাধারণ কাগজ তৈরির জন্য দেশীয় কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়৷ এটি পাট এবং মেস্তার পরিবর্তে চিত্রপট এবং পর্দা তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ এই গাছের গড়  উচ্চতা ২.৫ থেকে ৩ মিটার এবং ফুলের রঙ হলুদ৷ এর উৎপত্তি অনিশ্চিত হলেও অনেকে মনে করেন ভারত ও পাকিস্তান থেকেই এটি উৎপত্তি লাভ করেছে৷

আরও পড়ুনঃ চায়ের উৎপাদন ব্যাপক,তবে কেন প্রত্যাশিত লাভ পাওয়া যায়না,রইল ভারতীয় চা-এর ইতিহাস

শণ চাষে প্রয়োজনিয় জলবায়ু  মাটি

এটি একটি ছোট দিনে ফুল দানকারী ফসল, তবে বড় দিন উদ্ভিদের বৃদ্ধির পক্ষে অনুকূল৷ গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপ-গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুতে ফসলটি ভাল জন্মাতে পারে৷ এটি ২৩-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সীমার মধ্যে এবং ৪০ থেকে ৫০ সেমি বৃষ্টিপাতের তারতম্যের মধ্যে ভালভাবে বিকাশ লাভ করে৷ ভারতের উত্তরের রাজ্যগুলিতে বর্ষাকালে (খারিফ) এবং দক্ষিণাঞ্চলে, যেখানে শীতের প্রভাব কম, সেখানে শীতকালেও (রবি) ফসলটি উৎপাদন করা যায়৷

আরও পড়ুনঃ আনারস রপ্তানিতে রেকর্ড গড়ল মনিপুর

সুনিষ্কাশিত পলিমাটি, লাল কাঁকুরে, বেলে দো-আঁশ বা দো-আঁশ মাটির জমি শণ চাষের জন্য উপযোগী৷ মাটির ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট ফসলের শিকড়ে গুটি বা অর্বুদ (nodule) গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে৷ এটি ৫.০-৮.৪ মাত্রার পি. এইচ. (pH) সহ্য করতে পারে, তবে প্রশম পি. এইচ. (pH) (৬-৭) ভাল বৃদ্ধি এবং বীজ উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত৷

বীজবপনের পদ্ধতি

ফসল সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ সেমি × ৫ থেকে ১০ সেমি ব্যবধানে চাষ করা যায়, তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ বীজ উৎপাদনের জন্য ৩০ × ১০ সেমি দুরত্ব বজায় রেখে ২ থেকে ৩ সেমি গভীরতায় বীজ বপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়৷

ঝাড়াই

ট্র্যাক্টরের সাহায্যে মাড়িয়ে বা শক্ত মেঝের উপর শুঁটি গুলো পিটিয়ে বীজ বের করে তা পরিষ্কার করা হয়৷ এরপর এই বীজগুলিকে ৩ থেকে ৪ দিন ধরে সূর্যের আলোতে ভালকরে শুকিয়ে বীজের আর্দ্রতা ১০ শতাংশের নীচে রাখতে হবে যাতে বীজগুলিকে দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করা যায় এবং অঙ্কুরোদ্গম ক্ষমতা বজায় থাকে৷

ফলন

বীজের ফলন নির্ভর করে সেই স্থানের মৃত্তিকা ও জলবায়ু উপর৷ এই ফসলের বীজের গড় উৎপাদন হেক্টর প্রতি ১৬ থেকে ২০ কুইন্টাল৷

English Summary: Methods of hemp seed production
Published on: 13 September 2022, 02:51 IST