হীরা-২ হাইব্রিড ধান চাষ করে ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন পাঁচ শতাধিক কৃষক। গাছ খর্বকায় ও অপরিপক্ব অবস্থায় আগাম এ ধানে শিষ দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া পাতা মোড়ানো ও ক্ষেত্রবিশেষে হলুদ বর্ণের দেখা গেছে। উদ্ভিদ রোগতত্ত্ববিদদের ধারণা, ভাইরাস সংক্রমণ বা বিশেষ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতির কারণে ধানগাছগুলো এমন হতে পারে।
ধানের জাতে গোছাগুলো খর্বাকৃতিতে কুশির সংখ্যার স্বল্পতা, পাতা মোড়ানো ও ক্ষেত্রবিশেষে হলুদ বর্ণের দেখা গেছে। গাছগুলো যথাযথ বৃদ্ধি পায়নি, কোনো কোনোটি বাদামি আকার ধারণ করেছে। ভাইরাস সংক্রমণ বা বিশেষ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতির কারণে ধানগাছগুলো এমন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুনঃ নাড়াপোড়ানো: পরিবেশ দূষণ এবং সম্ভাব্য প্রতিকার
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে কৃষকেরা হীরা-২ হাইব্রিড ধান চাষ করছেন। এ বছর শুধু তেহট্টতেই ৫ শতাধিক কৃষক এ ধান চাষ করেছেন। বাজারে ৪০ কেজির বস্তা ১২ হাজার ও ১ কেজির প্যাকেট বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়। বাজারে এ ধানবীজের চাহিদাও রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কৃষি অর্থনীতিতে যোগ হলো জাপানি মিষ্টি আলু, লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা
কৃষকদের অভিযোগ, সঠিক পরিচর্যার পরও ধানগাছ কোনোটি ছোট, কোনোটি লম্বা আকার ধারণ করেছে। কিছু গাছে আগাম শিষ দেখা দিয়েছে। আবার অনেকগুলোর শাখা-প্রশাখাও গজায়নি। অথচ পাশের জমিতে অন্য জাতের বোনা ধানবীজের গাছগুলো স্বাভাবিক রয়েছে। এ বছর মানহীন বীজের কারণেই এমনটি হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেন।