উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: বৃষ্টির কারণে গত বছর বাদাম চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। বাদামের রঙের উজ্জ্বলতা হারিয়ে কালো হয়ে গিয়েছিল। তাই খোলাবাজারে চাহিদা থাকলেও, ভালো মানের বাদামের জোগান দিতে পারেননি চাষিরা। তবে এবার ভালো ফলন পেতে এখন থেকেই বাদাম চাষে বাড়তি পরিচর্যা শুরু করেছেন চাষিরা।
চাষিদের অনেকেই বলেছেন, যে বাদাম বীজ চাষ হচ্ছে, সেই বীজ থেকে আগামী দু’টি মরশুমে ফলন পাওয়া যাবে। তাই গত বছরের মত এ বছর বাজারের চাহিদা ভালো থাকবে। সেই আশা নিয়েই আগাম বাদাম চাষের যত্ন এবং পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু গত বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বাদাম চাষের জমিতে জল জমেছিল। ফলে চাষিদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আজ ১০০০ কোটির প্রকল্প উপহার দেবেন মমতা
সেই ক্ষতিপূরণ এবছর কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যাবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন কৃষকদের একাংশ। জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীর চর এবং ময়নাগুড়ির ঝাঝাঙ্গী এলাকার চাষীরা দীর্ঘদিন ধরে বাদাম চাষের সঙ্গে যুক্ত। এই এলাকায় সব্জি চাষের পাশাপাশি বড় অংশের চাষিরা বাদাম চাষের উপর নির্ভরশীল।
আরও পড়ুনঃ সাদা, হলুদ, গোলাপী, মিষ্টি আলু ফলিয়ে তাক লাগালেন ময়নাগুড়ির কৃষক অজিত
বাদাম চাষী বাসিন্দা হিতেশ রায় বলেন, এবছর বাজারে বাদাম বীজের ব্যাপক চাহিদা ছিল। বাদাম বীজের চাহিদা অনুযায়ী এ বছর বাদামের দাম ভালোই হবে। গতবছর পাইকারি ৭০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এক বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে চাষের খরচ হচ্ছে প্রায় আট হাজার টাকা।