Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 12 June, 2021 5:02 AM IST
Organic manure (Image Credit - Google)

জৈব সার ব্যবহার কৃষিতে ফলন বৃদ্ধির সাথে সাথে ফসলের মানও বৃদ্ধি করে। আর সঠিক পদ্ধতির দ্বারা জৈব সার বাড়িতেই প্রস্তুত সম্ভব। ফলে চাষ খরচও অনেকটাই কমে যায়। চাষবাসের পাশাপাশি অনেকেই পশুপালন করে থাকেন। পালিত পশুর বর্জ্য দিয়েই সম্ভব উচ্চ মানের জৈব সার প্রস্তুত।

প্রাচীন কাল থেকেই ভারতে গোবর (Cow dung) ও গোমূত্র (Cow urine) নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পুজো -পাঠের আগে পুজোর জায়গা গোবর দিয়ে লেপে দেওয়া হত। পোকা-মাকড়, মশা-মাছি ভিড়তে পারত না। পূজার্চনার পক্ষেও আবশ্যকীয় ‘পঞ্চগব্য’- দুধ, দধি, ঘি, গোবর ও গোমূত্র ( গোচনা )। এখনও গ্রামে গ্রামে গৃহবধূরা প্রত্যুষে সদরে গোবরছড়া দিয়ে দিন শুরু করেন। গোবরের ঘুঁটে ও গোবরগ্যাস জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

কৃষিতে সারের ব্যবহার (Use of fertilizer in agriculture) - 

বর্তমানে চাষের কাজে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার চলছে। ফলে চাষের কাজে সহায়ক নানান ক্ষুদ্র প্রানীকূল (insects, bacteria etc.) ধ্বংস হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের প্রয়োগে উৎপন্ন ফসল , ফল-মূল, শাক-সব্জির রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমেযাচ্ছে। উপরন্তু কৃষিতে ব্যবহৃত কীটনাশক খাদ্যের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে নানান রোগের সৃষ্টি করছে এহেন পরিস্থিতিতে জৈব চাষ মানুষের স্বাস্হ্যরক্ষা করতে পারে, জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে পারে। জৈব সার মাটির অম্ল ও ক্ষারের সূচক (পি.এইচ.) নিয়ন্ত্রণে রেখে নানান উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি করে। জৈবসার প্রয়োগে মাটির জলধারন ক্ষমতা ও তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। গাছের প্রধান খাদ্য – নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশ (এন.পি.কে)। গৌণ খাদ্য – ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফার। কৃষিবিজ্ঞানীরা দেখেছেন গরুর গোবরে নাইট্রোজেন ০.৪০%, ফসফেট ০.২০%  ও পটাশ ০.১০% আছে। গরুর মূত্রে নাইট্রোজেন ১.০০% , ফসফেট ০.৫০% ও পটাশ ০.৩৫% রয়েছে। প্রতিটি গরুর গোবর ও গোমূত্র থেকে প্রাপ্ত জৈব সারের আনুমানিক পরিমাণ বছরে নাইট্রোজেন ৪২.৬৫ কেজি, ফসফরাস ১০.২৮ কেজি ও পটাশ ৩৪.৯৩ কেজি। এই জৈব সারের কৃষিতে প্রয়োগে উৎপাদিত ফসলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যান্সার ও হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করে।

জৈব সার তৈরি (Made of organic fertilizer) - 

গোবর ও গোমূত্র দিয়ে নানান জৈব সার তৈরি করা যেতে পারে। গোমূত্র ১ লিটার, কাঁচা গোবর ১ কেজি, মিছরি ১০০ গ্রাম ও জল ১০ লিটার একত্রে মিশিয়ে ছেঁকে নিয়ে ফসলের পাতায় স্প্রে করলে ফসল ভালো হয় ও রোগ থেকে রক্ষা করে। গোমূত্র, কাঁচা গোবর, সর্ষের খোল, চিটে গুড়, নিম খোল, বেসন, ছানাকাটা জল,  ফেলে দেওয়া টক দইয়ের সাথে পরিমাণ মতো জল মিশিয়েও তরল জৈব সার তৈরি করা যায়। এই সার ছেঁকে নিয়ে স্প্রে করলে ফসলে পোকা ও রোগ হয় না। ‘অমৃতপানী’ জৈব সার তৈরিতেও কাজে লাগে।

‘অমৃতপানী’ তৈরিতে লাগে ২ লিটার গোমূত্র, ১ কেজি কাঁচা গোবর, ২৫০ গ্রাম চিটেগুড় ও ১০ লিটার জল। চার দিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। ১ লিটার ‘অমৃতপানী’-তে ৯ লিটার জল মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট ফর নেচার এন্ড এনভায়রনমেন্ট স্টাডি (আইনেস) সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জে উপরোক্ত জৈবসার গুলির প্রয়োগে কার্যকরী ফল পেয়েছেন। জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়েছে ও রোগ থেকেও রক্ষা পেয়েছে।

রাসায়নিক সারের ব্যবহারে নষ্ট হওয়া মাটি জৈব সার ব্যবহারে উর্বরতা ফিরে পায়। দেখা গেছে পরপর তিন বছর  যদি জৈবসার ব্যবহার করা যায় তবে সেই জমিতে আর রাসায়নিক সার ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা থাকে না এবং মাটিও পূর্বের স্বাভাবিক উর্বরতা ফিরে পায়।

আরও পড়ুন - Crop Care - গাছের বৃদ্ধি কমে যাচ্ছে অথবা অপরিপক্ক অবস্থায় ফল ঝরে যাচ্ছে? জানুন প্রতিকারের উপায়

English Summary: Organic fertilizer - How to make organic manure for cultivation from dung and cow urine?
Published on: 11 June 2021, 06:43 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)