উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: আলু চাষে ঝুঁকি তাই কম খরচে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ভুট্টা চাষ শুরু করেন জয়প্রকাশ রায়। দীর্ঘ তিন বছর ধরে ভুট্টা চাষ করছেন ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভান্ডার গ্রামের নতুন প্রজন্মের কৃষক জয়প্রকাশ রায়। গত মৌসুমে তিন বিঘা জমিতে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে ভুট্টা চাষ শুরু করেন। এবছর বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ করে সেই লাভের আশায় চার বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ শুরু করেছেন।
চূড়াভান্ডার গ্রামের অধিকাংশ জমিতেই আলু চাষ হয়েছে। সেই তুলনায় ভুট্টা চাষ বেশি লাভজনক বলে মনে করছেন জয়প্রকাশ। আলু চাষে ঝুঁকি বেশি থাকায় গত তিন বছর ধরে তিনি ভুট্টা চাষ করেছেন। ভুট্টা চাষী জয়প্রকাশ রায় বলেন, 'আলুর আবাদে অনেক খরচ, অনেক ঝুঁকি। কিন্তু ভুট্টা আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি। এলাকার যেসব জমিতে পূর্বে অন্যান্য ফসল চাষ করা হতো, সেই সব জমিতে এবার ভুট্টা চাষ হচ্ছে। ভুট্টার উৎপাদন খরচ তুলনামূলক অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া সব সময় বাজারে ভুট্টার দামও বেশি থাকে। এ জন্য কৃষকেরা ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।
আরও পড়ুনঃ মজুরির দাম বেশি আর টমেটোর দাম কম হওয়ায় সমস্যায় টমেটো চাষিরা
ভুট্টা রবি মৌসুমের ফসল। সাধারণত অক্টোবর-নভেম্ভর মাসে ভুট্টা বীজ রোপণ করা হয়। পতিত জমিতে অল্প সেচে ভুট্টা চাষ হয়। বাজারে ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা ও বেশি মুল্য থাকায় এ অঞ্চলেও ভুট্টার চাষ বাড়ছে। এক বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করতে প্রায় দুই হাজার টাকার বীজ লাগে।
আরও পড়ুনঃ সেরা অনলাইন মিডিয়া পুরস্কার পেল কৃষি জাগরন
জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় ভুট্টা চাষ হয়েছে। মাঠের পর মাঠ ভুট্টাখেত। সবুজ রঙের গাছগুলো দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। খেতগুলোতে সেচ ও কীটনাশক দেওয়া এবং পরিচর্যায় কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। খেতগুলোতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও কাজ করতে দেখা যায়।