কৃষিজাগরন ডেস্কঃ কৃষি ফসল উৎপাদনে কীটনাশকসমুহ সাধারণত কীটপতঙ্গ, রোগ, আগাছা এবং অন্যান্য উদ্ভিদের রোগজীবাণু প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয় যাতে করে ফলনের হ্রাস কমানো যায় এবং উৎপন্ন পণ্যেরও গুণমান বজায় থাকে। কিন্তু কৃষিকাজে সঠিক সুরক্ষাবিধি অনুসরন না করে অনিয়ন্ত্রিতভাবে দিনের পর দিন কীটনাশকের ব্যবহার মানুষ, প্রাণীর শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত নেতিবাচক এবং বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি করছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে চাষিভাইদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা তথা পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখার কথা ভেবে এই সংক্ষিপ্ত নিবন্ধটিতে বিভিন্ন কীটনাশকের প্রকারভেদ ও ফরমুলেশন, কীটনাশক এবং সেগুলি রাখার পাত্রের নিরাপদ মজুত, পরিবহন এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তির বিষয়গুলিকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হল।
কীটনাশকের পরিচিতি
রাসায়নিক অথবা জৈব বস্তু যেটি পোকা হত্যা করে বা তার বৃদ্ধি রোধ করে। সমস্ত রাসায়নিক কীটনাশক হল বিষ এবং তা পরিবেশ ও মানুষের শরীরে দীর্ঘস্থায়ী বিদ্যমান থেকে ক্ষতি করে।
আরও পড়ুনঃ হবে মুকুলের আগমন! আম আসার পর গাছে রোগবালাই হবে না, বাম্পার ফলন হবে
কীটনাশকের শ্রেণীবিভাগ
১. পোকানাশকঃ এটি পোকা দমনে ব্যবহার করা হয়। এটি পোকার ডিমনাশক এবং লার্ভানাশক দুই রকম হয়।
২. মাকড় নাশকঃ এটি মাকড় জাতীয় পোকাকে মারে।
৩. ছত্রাকনাশকঃ এটি রাসায়নিক বা জৈবিক পদার্থ যেটি ছত্রাক এবং ছত্রাকের গুটি কে মারে।
৪. নিমাটোড নাশকঃ এটি নিমাটোড জাতীয় কৃমি কে মারে।
৫. ইঁদুর নাশকঃ এটি ইঁদুর জাতীয় তীক্ষ্ণ দন্তযুক্ত প্রাণী কে মারে।
৬. আগাছা নাশকঃ এটি আগাছা জাতীয় অযাচিত উদ্ভিদকে মারে। নির্বাচক আগাছা নাশক নির্দিষ্ট কিছু আগাছা কে মারে এবং অনির্বাচক আগাছা নাশক সমস্ত উদ্ভিদ কে মারতে পারে।
৭. উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রকঃ এটি হল প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম জৈব পদার্থ যেটি গাছের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
৮. কীটনাশক কার্যকারিতা বর্ধকঃ এটি বিভিন্ন ধরনের কীটনাশকের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ফর্মুলেশন
|
নাম |
প্রয়োগ |
এসটি |
জলে দ্রবণীয় ট্যাবলেট |
স্প্রে |
এসইউ |
আলট্রা লো ভলিউম (ULV) সাস্পেনশন |
স্প্রে |
ভিপি |
বাষ্প নির্গমন পণ্য |
স্প্রে |
ডব্লীউজি |
জলে মেশানো দানা |
স্প্রে |
ডব্লীউপি |
ভিজানোর পাউডার |
স্প্রে |
ডব্লীউটি |
জল দিয়ে ছড়ানোর ট্যাবলেট |
স্প্রে |
জেডসি |
সিএস এবং সিএস’র মিশ্র ফর্মুলেশন |
স্প্রে |
জেডই |
সিএস এবং এসই মিশ্র ফর্মুলেশন |
স্প্রে |
জেডডব্লীউ |
সিএস এবং ইউব্লিউ’র মিশ্র ফর্মুলেশন |
স্প্রে |
এফএস |
বীজের যত্নের জন্য ফ্লোয়েবল কনসেনট্রেট |
হ্যান্ড/ সিড ড্রেসার |
ওডি |
তেল ছড়ানো |
স্প্রে |
ডিএস |
শুকনোবীজ শোধনের জন্য পাউডার |
বীজ/হাতে মেশানো |
জিআর |
দানা |
ছড়ানো |
ইসি |
ইমালসিফায়েবল কনসেনট্রেট |
স্প্রে |
ইজি |
ইমালসিফায়েবল দানা |
ছড়ানো |
ইএস |
বীজ শোধনের জন্য ইমালশন |
বীজ/হাতে মেশানো |
এসসি |
সাস্পেনশন কনসেনট্রেট |
স্প্রে |
এসডি |
সরাসরি প্রয়োগের জন্য সাস্পেনশন কনসেনট্রেট |
স্প্রে |
এসই |
সাস্পো-ইমালসন |
স্প্রে |
এসজি |
জলে দ্রবণীয় দানা |
স্প্রে |
এসএল |
দ্রবণীয় কনসেনট্রেট |
স্প্রে |
এসও |
তেল স্প্রে করা |
স্প্রে |
এসপি |
জলে দ্রবণীয় গুঁড়ো |
স্প্রে |
এমই |
মাইক্রো-ইমালসন |
স্প্রে |
চিত্রঃ বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন প্রকারের কীটনাশক ফরমুলেশন
কীভাবে কিনতে হবে
কেনার আগে উপদেশের নির্দেশাবলীর জন্য, ব্যবহারবিধি, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, গ্রহণযোগ্যতার, বিষক্রিয়ার উপসর্গ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কিত লেবেলগুলি পড়ুন। শুধুমাত্র আসল বিল নিয়ে কীটনাশক কিনুন।
কীভাবে বইতে হবে
-
যাতে ছড়িয়ে না যায়, তার জন্য পাত্রটি আপনার কোমরের নিচে রাখুন।
-
কীটনাশকের ব্যাগ খুলতে ধারালো ছুড়ি ব্যবহার করুন; এগুলি দাঁত দিয়ে ছিঁড়বেন না অথবা লেবেল ছিঁড়বেন না।
-
কীটনাশক বাইরে নিয়ে গিয়ে এমন জায়গায় মেশান যেখানে ভালো আল-বাতাস আছে।
-
ঘাড়, কাঁধ বা পিঠে কখনই অতিরিক্ত কীটনাশক বইবেন না। আপনি দু’চাকার গাড়িতে এই পণ্য বইলে, তার জন্য উপযুক্ত ব্যাগ ব্যবহার করুন।
কীভাবে রাখতে হবে
-
বাড়ির মধ্যে কীটনাশক রাখবেন না।
-
আসল অক্ষত সিল করা পাত্রে রাখুন এবং বিক্রির বা রাখার উদ্দেশ্যে কোনও লিকড কীটনাশক কখনও কোনও অন্য পাত্রে ঢালবেন না। কীটনাশকগুলি যেন অতিরিক্ত রোদ না পায় এবং সেগুলি জমে যাওয়ার মতো তাপমাত্রায় রাখবেন না।
-
ছড়িয়ে পড়া বা লিক হওয়া পণ্য ধরে রাখার জন্য বালি বা কাঠগুঁড়ো ভরা অর্ধেক কাটা ড্রাম অবশ্যই রাখতে হবে।
-
কীটনাশকগুলি রান্নাঘর এবং জলের উৎস যেমন কুয়া, পাম্প ইত্যাদি থেকে দূরে রাখুন।
-
কীটনাশকগুলি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। কীটনাশক প্যাকেজগুলির আশেপাশে বিচালি রাখবেন না এবং কীটনাশক রাখার জায়গার কাছে পশুদের চরতে দেবেন না।
স্প্রে করার আগে বিভিন্ন সুরক্ষাবিধি
-
শুধুমাত্র পাত্রের লেবেলে উল্লিখিত প্রস্তাবিত ডোজ ব্যবহার করুন। কীটনাশক মেশানোর এবং প্রয়োগ করার সময় দস্তানা, গগলস এবং টাইট পোশাক ব্যবহার করুন।
-
ডোজ ঠিকভাবে মাপা উচিত। ওভার ডোজ ও আন্ডার ডোজ ফসলের ক্ষতির কারন হতে পারে এবং এর ফলে গ্রাহকের স্বাস্থ্যের ক্ষতিও করতে পারে। ডোজ মাপার আগে সঠিক দস্তানা, মাস্ক, গগলস লাগাতে হবে।
-
কীটনাশক বোতলের বা ভলিউমেট্রিক ফ্লাস্কের ক্যাপে দেওয়া রাসায়নিকের ডোজ সঠিকভাবে মাপার কাপ ব্যবহার করুন।
-
নিজের গায়ে যাতে না লাগে তার জন্য হাওয়ার বিপরীতে দাঁড়াবেন না।
-
তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি বা কম হলে কীটনাশক প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন। তাপমাত্রা ৩০০C থেকে বেশি বা ১০০C থেকে কম হলে বিশেষ খেয়াল রাখুন। গরম রোদের দিনে বা বৃষ্টির সময় কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত নয়।
-
কীটনাশক যাতে অযাচিত কিছু দূষিত না করে সেদিকে কঠোর দৃষ্টি রাখুন
-
স্প্রে করার আগে সবসময় স্প্রেয়ার ধুয়ে নিন। স্প্রেয়ার ট্যাঙ্ক ধোয়ার সময় দস্তানা পরা বাধ্যতামূলক।
-
জলের উৎসের কাছে ট্যাঙ্ক কখনো ধোয়া উচিত নয়। মেশানোর জল ময়লা বা ঘাসযুক্ত হওয়া উচিত নয়।
প্রয়োগ কালে বিভিন্ন সুরক্ষাবিধি
-
প্রয়োগের সরঞ্জাম পরীক্ষা করুন।
-
হোজে বা কানেকশনে, লাগানো বা ক্ষয়ে যাওয়া নজলে লিক আছে কিনা দেখুন এবং ফিল্টারের খোলা অংশের উপরের সিলগুলি পরীক্ষা করুন যাতে সেগুলি রাসায়নিক ক্ষরণ প্রতিরোধ করতে পারে তা নিশ্চিত হওয়া যায়। ব্যবহারের আগে আপনার সরঞ্জাম ক্যালিব্রেট করুন।
-
আপনার সরঞ্জাম প্রস্তুতকারকের নির্দিষ্টকরণ অনুসারে সামঞ্জস্য করা হয়েছে এবং যে পণ্য প্রয়োগ করছেন তার লেবেলে লেখা প্রয়োজনীয়তা পূরণ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
-
স্প্রেয়ার ট্যাঙ্ক শুঁকে দেখবেন না। দ্রবন প্রস্তুত করার সময় বা দ্রবন স্প্রে করার সময় খাবেন না, ধূমপান করবেন না এবং চিবাবেন না।
-
সঠিক পিপিই না পাওয়া গেলে অপারেটরকে তার খালি পা রক্ষা করতে জুতো এবং হাত রক্ষা করতে পলিথিলিন ব্যাগ দিয়ে ঢাকা উচিত। স্প্রেয়ার লোড করার আগে সব সময় স্ত্র্যাপ পরীক্ষা করে নিন।
-
আবদ্ধ নজল মুখ দিয়ে ফুঁ দিয়ে পরিষ্কার করবেন না। পুরনো দাঁতের ব্রাশ স্প্রেয়ারের সাথে বেঁধে ব্যবহার করুন এবং জল দিয়ে পরিষ্কার করুন।
-
আগাছানাশক এবং কীটনাশকের জন্য একই স্প্রেয়ার ব্যবহার করবেন না।
-
স্প্রে করার সময় উপযুক্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) পরা উচিত। এর মধ্যে একটি পুরো বডি স্যুট, গগলস, বুট, দস্তানা, মাস্ক, টুপি / ক্যাপ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। স্প্রে করার সময় তামাক/খাবার চিববেন না।
-
স্প্রে করার সময় শিশু এবং গৃহপালিত প্রাণী যেন আশেপাশে না থাকে।
স্প্রে করার পরে বিভিন্ন সুরক্ষাবিধি
-
প্রয়োগের পরে স্প্রেয়ার ডিটারজেনট দিয়ে সঠিকভাবে ধুয়ে নিন। এটি কখনই জলের উৎসের কাছে এবং উপযুক্ত পিপিই যেমন মাস্ক, দস্তানা ইত্যাদি ছাড়া ধোবেন না।
-
পাইপ এবং ভাল্ভ ধুয়ে নিন। তিনবার ধোয়াই সেরা পদ্ধতি, তবে ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে পুরনো টুথব্রাশ ব্যবহার করুন। ফিল্টার স্ক্রিন আবদ্ধ হয়ে গেলে ব্রিসল ব্রাশ বা টুথব্রাশ দিয়ে আলতো করে রগড়ে নিন এবং অবশিষ্টাংশ সঠিকভাবে ফেলে দিন।
-
ক্ষেত থেকে ফিরে সঠিকভাবে স্নান করুন। নিজেকে পরিষ্কার করতে সাবান ব্যবহার করুন। আপনার কাপড় ধুয়ে নিন।
-
স্নানের আগে শিশুদের কোলে নেবেন না।
-
ক্ষেত থেকে ফিরে আপনার কাপড় ধুয়ে নিন। জলের উৎসের সাথে এর ময়লা মিশতে দেবেন না এবং জলের উৎসের কাছে স্প্রেয়ার ধোবেন না।
-
পাত্র এবং তাতে বাকি থাকা কীটনাশক রাজ্য সরকারের নিয়মাবলী বা উপদেশ অনুযায়ী সঠিকভাবে ফেলে দিন। এর বোতল বিষাক্ত হওয়ার কারনে বাড়িতে / মাঠে আবার ব্যবহার করবেন না। কোণও জলের উৎসের কাছে এগুলির বোতল/ পাত্র/ প্যাকেট ফেলবেন না।
কীটনাশক কীভাবে ফেলতে হবে
-
প্রয়োগের পরে, কীটনাশক অল্প পরিমানে পাত্রে থাকবে নাকি এটিকে খালি করতেই হবে। কীটনাশক বাকি থাকলে সেটিকে ঘর থেকে দূরে তালাবন্ধ করে রাখুন। পাত্র বদলাবেন না। কীভাবে ফেলবেন জানতে নিম্নোক্ত লেখাটি পড়ুন।
-
আইআরএস কার্যকলাপের শেষে, ন্যাপ স্যাক স্প্রেয়ার, অন্যান্য কীটনাশক প্রয়োগের সরঞ্জাম ধুয়ে দেওয়ার পরে, ঢাকনা দেওয়া ড্রামে বা পাত্রে ধোওয়া জল সংগ্রহ করে সরকারি নিয়ম বা উপদেশ অনুযায়ী অবশিষ্ট জল ফেলে দিন।
-
কাঁচ, প্লাস্টিক বা ধাতু দিয়ে তৈরি পাত্রে তিনবার ধোওয়ার প্রক্রিয়া অনুসরন করে অদূষিত করা যায়।
-
কীটনাশক ধোয়া জলকে কখনও নদীর জলের সাথে মিশতে এবং বাড়ির বা বসতির কাছে কোণও জায়গায় ফেলতে দেবেন না।
-
গৃহস্থের কাজে কখনই অদূষিত কৃত পাত্র ব্যবহার করবেন না, অদূষিত করার পরেও না।
ফলবাগানের সুরক্ষা নির্দেশাবলী
স্প্রে করার সময় গাছগুলি থেকে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন, নাহলে আপনি সরাসরি উপরের দিকে স্প্রে করলে তরল আপনার উপর পড়তে পারে। সর্বোচ্চ ৪৫ ডিগ্রী কোনে স্প্রে করুন। বিষ এড়ানোর জন্য পিপিই পরুন। স্প্রে করার আগে স্প্রেয়ারের ফোর্স ক্যালিব্রেট করুন। পরামর্শ মত, কীটনাশক প্রয়োগের আগে গাছের চারপাশে যথাযথ বেসিন তৈরি করুন। প্রয়োগ করার সময় রাসায়নিকগুলি যাতে আপনার নখে না ঢোকে সেই জন্য সাবধানতা অবলম্বন করুন। এই পদ্ধতি অনুসরণ করার সময় জুতা/ বুট পরা আবশ্যক। ডিটারজেন্টের সাথে স্প্রে করার আগে এবং পরে ড্রাম সঠিকভাবে ধুয়ে নিন, ড্রামের জল কোনও জলের উৎসের সাথে মিশতে দেবেন না। মনে রাখুন, শিশু এবং প্রাণী সাধারনত পৌঁছতে পারে না এমন জায়গায় অন্য সবের থেকে আলাদা করে ধোবেন।
আরও পড়ুনঃ মুগা রেশমের চাষ
বিভিন্ন প্রাণীর জন্য সুরক্ষা নির্দেশ
১.মৌমাছি-মৌমাছি, বিশেষত মধুকর, খাদ্য শস্যের পরাগায়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মৌমাছিদের খাবার আহরণের সক্রিয় সময়ে স্প্রে করবেন না।
২.পাখি-পাখির জনসংখ্যা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য শুধু খুব ভোরে বা সন্ধ্যায় স্প্রে করুন। পাখির মৃত্যুর সম্ভাবনা কমানোর জন্য শুধু গাছের একেবারে মাথায় স্প্রে করুন, খোলা হাওয়ায় নয়।
৩.মাছ-জলাশয়ের কাছে বা যেখানে মৎস্য চাষ হয় সেখানে কীটনাশক স্প্রে করা উচিত নয়। জলে বিষাক্ত জিনিস মেশার কারনে জলজ প্রাণীর মৃত্যু হতে পারে। সাবধানতার জন্য লেবেল পড়ুন।
কীটনাশক নিয়ে কাজ করার সময় চাষিভাইদের কীটনাশকের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে বাঁচতে অবশ্যই স্ব-রক্ষামূলক উপকরণ ব্যবহার করা দরকার। কীটনাশক অবশ্যই সঠিক প্যাকেজিংয়ে সংরক্ষণ এবং পরিবহন করতে হবে যা বাইরের পরিবেশের সাথে তাদের মিথস্ক্রিয়া নিষিদ্ধ করে এবং কীটনাশকের কাছাকাছি যে কোন ধরনের আগুনের শিখা ব্যবহার এড়ানো উচিত। প্রশিক্ষণ ছাড়াই কীটনাশক ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করতে হবে, তাছাড়া কীটনাশক প্রয়োগের পর হাত ও কাপড় সঠিকভাবে ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কীটনাশক প্রয়োগের সময় কৃষকদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং তাদের খালি পাত্রগুলিকেও কোনও সুরক্ষিত জায়গায় ফেলার আগে ভালো করে ধুয়ে দিতে হবে। সামগ্রিকভাবে, বর্তমান সময়ে কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহারের ধরণ বা আচরণের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী ও সচেতন হওয়া উচিত এবং সকলপ্রকার সুরক্ষবিধিগুলিকে যতটা সম্ভব চাষিভাইদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।
শানু কুমার সাহা
সেখ মহম্মদ আজিজুর রহমান
মধুসুধন বেহেরা
গৌরাঙ্গ কর
ফিরোজ হাসান রহমান