ভারত একটি কৃষিপ্রধান দেশ। যেখানে কৃষিকাজ করেই চলে বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবিকা। বর্তমান সময়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করলেও আয়ের দিক থেকে অনেক গাছ রয়েছে যা দিয়ে খুব ভালো আয় করা যায়। সরকারও কৃষকদের গাছ লাগাতে উৎসাহিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষকদের এমন তিনটি গাছ লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেগুলোর বাজারে চাহিদাও রয়েছে এবং চাষ করে অনেক বেশি লাভও করা যায়।
গামার গাছের চাষ
কৃষকরা এই গাছের চাষ করে দীর্ঘ সময় লাভ করতে পারেন । এই গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই গাছের পাতা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এই পাতায় অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই গাছের কাঠ কৃষকদের জন্য খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে, কারণ এর কাঠ ফার্নিচার তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় (Wood Used Extensively In Making Furniture)। এক একর জায়গায় এই গাছের ৫০০ চারা রোপণ করা হয়। গামার গাছ চাষে যদি খরচের কথা বলি তাহলে এতে মোট খরচ হয় ৪০-৫৫ হাজার। এক একরে এই গাছ থেকে মোট এক কোটি টাকা আয় করা যায়।
চন্দন চাষ _
চন্দন কাঠ শুধুমাত্র ধর্মীয় কাজেই ব্যবহৃত হয় না, এর থেকে অনেক সৌন্দর্য ও চিকিৎসা সামগ্রীও তৈরি করা হয়। শুধু তাই নয় , চন্দন চাষ করে কম সময়ে কোটিপতি হওয়া যায় । চন্দনের সুগন্ধ ছাড়াও রয়েছে ঔষধিগুণ। এর তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে পেশীর ক্র্যাম্প দূর হয়। এর তেল মস্তিষ্কের কোষকে উদ্দীপিত করে এবং মন ও স্মৃতিশক্তিকে তীক্ষ্ণ করে।
ওষুধ ছাড়াও এর তেল ধূপকাঠি, সাবান, পারফিউম ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। এক একর চন্দনে ৫০০ গাছ রোপণ করা যায়। আমরা যদি চাষের খরচের কথা বলি, তাহলে এতে মোট খরচ হয় 40-60 হাজার। একই সঙ্গে চন্দন গাছ চাষে যদি আয়ের কথা বলি, তাহলে একটি গাছের দাম সর্বনিম্ন ৫০ হাজার। এক একরে ১ কোটির বেশি আয় করতে পারবেন।
সেগুন চাষ _
সেগুন কাঠের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এটিতে উইপোকা হয় না এবং জলেও এটি নষ্ট হয় না। এই বিশেষত্বের কারণে বাজারে এর চাহিদা বেশি থাকে এবং এটি আসবাবপত্র তৈরিতেও বেশি ব্যবহৃত হয়। একটি গাছের দাম ৪০ হাজার টাকা।