গোলাপজামের বৈজ্ঞানিক নাম Syzygium Jambos।এই ফল পাকলে গোলাপের মত কিছুটা গন্ধ বের হয় বলেই সম্ভবত এ নাম।দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ফলটির নামে ভিন্নতা রয়েছে।গোলাপজাম এর ইংরেজি নাম Malabar plum, Rose apple ,Gulab Jamun ইত্যাদি।এটি একটি উৎকৃষ্ট মানের ফল।ফল হিসাবে গোলাপজাম আমাদের দেশে খুব বেশি সুপরিচিত না হলেও এই ফল খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু।
গোলাপজাম দেখতে সুন্দর অবয়ব, পাকলে ফিকে হলুদ কিংবা হালকা গোলাপী রঙ ধারণ করে।আর এর গোলাপ ফুলের ন্যায় ঘ্রাণ যে কোন মানুষের মনকে বিমোহিত করে তোলে।কাঁচা ফলের রং সবুজ এবং স্বাদে কষ্টা। প্রতি ফলে সাধারণত দুইটি বীজ থাকে।তবে কিছু কিছু ফলে এক কিংবা তিনটি বীজও থাকতে পারে।
আরও পড়ুুনঃ সঠিক উপায়ে আঙ্গুর চাষের পদ্ধতি
গোলাপজাম কাঁচা অবস্থায় সবুজাভ এবং কিছুটা শক্ত হলেও পাকলে নরম ও সাদাটে হয়।এই গাছ বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন, চীন,ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশে জন্মে থাকে।
পুষ্টিগুণ
টক মিষ্টি স্বাদের এই ফলে প্রচুর ভিটামিন সি ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, ক্যারোটিন এবং ক্যালসিয়াম। একটি গোলাপজামে প্রায় ৪০ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তি থাকে।
উপযুক্ত জমি ও মাটি
যে কোন চারা রোপণের পূর্বেই সঠিক জায়গা ও মাটি নির্বাচন করা উচিত। যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে, বন্যামুক্ত উঁচু জায়গা নির্বাচন করে জায়গাটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। সঠিক মাটি নির্বাচনের জন্য উপরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য থেকে এ বিষয়ে ধারনা নেয়া যেতে পারে।
সেচ ব্য়বস্থা
অতিরিক্ত জল দেওয়া আবার একদম কম জল দেওয়া উভয়ই গাছের জন্য ক্ষতিকর। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বেশি পানি দেয়ার ফলে বিভিন্ন রোগে গাছ আক্রান্ত হয়, এমনকি মারা যায়। এ জন্য গাছের গোড়া শুকালেই কেবল পানি দেয়া যাবে, গোড়া ভেজা থাকলে কোনো মতেই তাতে জল দেওয়া যাবে না। কিছু গাছ বেশি জল গ্রহণ করে আবার অনেক গাছে জল কম লাগে। বৃষ্টি বা নালায় জমে থাকা জল গাছ বেশি পছন্দ করে। তবে সকাল বেলা গাছে জল সেচ দেয়া উত্তম।
আরও পডু়নঃ লাউ চাষে এখন বাম্পার ফলন হবে, চাষিদের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে
সার প্রয়োগ
গাছের সঠিক বৃদ্ধি ও কাঙ্খিত ফলাফল এর জন্য গাছের বৃদ্ধি ও ফুল ধরার সময় সঠিক মাত্রায় জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অধিকাংশ গাছের ক্ষেত্রেই ১৫ দিন বা এক মাস অন্তর অন্তর সার প্রয়োগ করতে হবে। রাসায়নিক সার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে।