কৃষিজাগরন ডেস্কঃ প্রথাগত চাষাবাদ বাদ দিয়ে মানুষ এখন আধুনিক চাষের দিকে ঝুঁকছে, কারন এতে লাভ হয় অনেক বেশি। এ কারণেই আজকের যুগে শুধু কৃষকই নয়, অন্যান্য পেশার মানুষও কৃষি কাজ করার চেষ্টা করছেন। আজ আমরা এমনই এক ব্যক্তির কথা বলব যিনি আধুনিক কৌশলে পেয়ারা চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।আমরা বিহারের পূর্ব চম্পারন জেলার বাসিন্দা রবিভূষণ শর্মার কথা বলছি। পেশায় স্কুল শিক্ষক রবিভূষণ পেয়ারা চাষ করে আজ একজন সফল কৃষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন ।
রবিভূষণ ৫ একর জমিতে থাই সিডলেস ও থাই সূর্যকিরণ জাতের ৫ হাজার পেয়ারার চারা রোপণ করেছেন। তার মতে, ঐতিহ্যবাহী চাষের তুলনায় এই ফলটিতে একবার বিনিয়োগ করলে ৩০-৩৫ বছর আয় করা যায়।
আরও পড়ুনঃ 'ঝুম' পদ্ধতির চাষের কথা শুনেছেন? জেনে নিন চাষের সুবিধা-অসুবিধা
একটি গাছ থেকে ১ কুইন্টাল ফলন
রবিভূষণ বছরে তিনবার একটি গাছ থেকে প্রায় ১ কুইন্টাল পেয়ারার ফলন পান। তাঁর কথায়, মানুষ থাই সিডলেস ও থাই সূর্য কিরণ জাতের পেয়ারা খুব ভাল খায়। বাজারে নিয়ে গেলে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করতে হয় না, সঙ্গে সঙ্গে পেয়ারা বিক্রি হয়ে যায় । এই জাতের একটি পেয়ারার ওজন ২০০ থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। একটি গাছ থেকে তিনি এক হাজার টাকা আয় করেন।
আয় ভালো হওয়ায় আরও কৃষকদেরও এই পেয়ারা চাষ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। রবিভূষণের মতে, তাঁর সফল চাষ প্রমাণ করেছে যে পূর্ব চম্পারণের এলাকা পেয়ারা চাষের জন্য ভাল এবং উপযুক্ত। বাকি কৃষকদের উৎসাহিত করে তিনি বলেন, কৃষকরা ইচ্ছা করলে এ বছর তাদের তৈরি করা চারা থেকে কিছু চারা নিতে পারেন। এই পেয়ারা চাষে ইচ্ছুক কৃষকদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং কৌশল শেখানো হবে।
আরও পড়ুনঃ মিশ্র চাষে আর্থিক লাভবানের স্বপ্ন! ময়নাগুড়ির কৃষক গোয়েন রায়ের
কিছু উন্নত জাতের পেয়ারা
রবিভূষণ যে প্রজাতির পেয়া
'ঝুম' পদ্ধতির চাষের কথা শুনেছেন? জেনে নিন চাষের সুবিধা-অসুবিধা
রা চাষ করছেন তা ছাড়াও অনেক জাত রয়েছে যেগুলিকে উন্নত শ্রেণীতে গণনা করা হয়, যেমন- সরদার পেয়ারা (এল-৪৯), পাঞ্জাব পিঙ্ক, এলাহাবাদ সফেদা, অরক্স মৃদুলা, শ্বেতা, তাইওয়ান পিঙ্ক পেয়ারা।
আপনার এলাকা অনুযায়ী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে পেয়ারার জাত বেছে নিতে পারেন।