পশ্চিমবঙ্গ সবরকম জলবায়ুর রাজ্য। এখানে যেমন বৃষ্টিবহুল অঞ্চল রয়েছে তেমনি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম এর মতো খরাপ্রবণ অঞ্চলও বিদ্যমান। বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে কৃষিসহায়ক পরিবেশ যথেষ্ট অনুকূল হলেও খরাপ্রবণ অঞ্চলে চাষাবাদ যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের বিষয়। তবে কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে একপক্ষকাল অন্তর জল দেওয়ার মতো পরিকাঠামো যদি কোনো খরা প্রবণ অঞ্চলের থাকে তবে সেই সব অঞ্চলে হালকা সেচের মাধ্যমে চিচিঙ্গা চাষ আগামিদিনে বেশ লাভজনক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই চাষের উপকরণ লাগে খুবই সামান্য, তবে জমি লাগে অনেক বেশী, একটির সাথে আরেকটি চারার মধ্যে ব্যবধান রাখতে হবে প্রায় আড়াই থেকে তিন ফুট, এরপর চার পাঁচ ফুট মাদা করে সারি বানাতে হবে। উপাদান হিসেবে লাগে ৫০০-৬০০ গ্রাম জৈব সার ও বীজ শোধনে ব্যবহার করতে হবে ১০ গ্রাম ম্যানকোজেব।
এক সপ্তাহের মধ্যে অঙ্কুর বের হলে গাছ খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়, তাই মাচা তৈরির ব্যবস্থা আগে থেকেই করা ভালো। দূরত্ব বজায় রেখে যদি চারা পোঁতা হয় তাহলে গাছের ফলন হয় খুব বেশী। চিচিঙ্গার প্রথম ও প্রধান শত্রুই হল মোজাইক ভাইরাস, যা সাধারণত চিচিঙ্গার পাতার শিরায় মাঝের অংশে দাগ করে দেয়, এর পর শিরা মোটা হতে থাকে ও পাতা বিবর্ণ হয়ে যায়। এই রোগটি হলে চিচিঙ্গার ফলন হয় না বললেই চলে কারণ, গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও গাছে কোনো ফুল হয় না। তাই জৈব উপায়ে যাতে সাদামাছি দমনের ব্যবস্থা করা যায় সেই দিকে নজর রাখতে হবে।
-প্রদীপ পাল