এখন হিমাচল প্রদেশেও মূল্যবান লাল চন্দন চাষের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে । এখানে এর নার্সারি তৈরি হচ্ছে। এক কেজি লাল চন্দনের দাম 5000 টাকা পর্যন্ত। তাই এর চাষ চাষিদের আয় বাড়াতে চলেছে। লাল চন্দন ধর্মীয় উদ্দেশ্যে এবং ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত দক্ষিণ ভারতে চাষ করা হয়। দক্ষিণ ভারতে লাল চন্দন কাঠের একচেটিয়া অধিকার বলে মনে করা হয়। যেখানে এর পরিবেশ হিমাচলেও রয়েছে। এখানে আগে থেকেই সাদা চন্দন চাষ হয়।
আসলে, হিমাচলের লাল চন্দন চাষের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে কারণ হর্টিকালচার অ্যান্ড ফরেস্ট্রি কলেজ নেরি, হামিরপুরের বিশেষজ্ঞরা একটি নার্সারিতে লাল চন্দন চাষে সফল হয়েছেন। তাই এখন এ দিকে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর, সিরমাউর, বিলাসপুর এবং কাংড়া জেলায় ইতিমধ্যেই চন্দন চাষ করা হয়। কিন্তু এখানে সাদা চন্দন জন্মে। এখন এখানকার কৃষকরাও লাল চন্দন উৎপাদন করবেন।
কত উচ্চতায় লাল চন্দন জন্মে
বিশেষজ্ঞদের মতে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 750 মিটার পর্যন্ত এলাকায় লাল চন্দন চাষ করা যায়। হিমাচল এ এর জন্য ভালো আবহাওয়া রয়েছে। এখানকার নিচু এলাকায় এর চাষ সম্ভব। বলা হয়ে থাকে যে সাদা চন্দনের তুলনায় লাল চন্দন উৎপাদনের পদ্ধতি ভিন্ন। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ফলানোর পদ্ধতি ভিন্ন হলেও এসব জায়গায় লাল চন্দন চাষে কোনো সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুনঃ বহুমুখী বাণিজ্যিক ফসল তিসি! কীভাবে চাষিদের আয় বাড়বে
মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডক্টর ওয়াই এস পারমার রিসার্চ সেন্টার নেরির কাছে খাগল গ্রামে একটি চন্দন কাঠের নার্সারী তৈরি করা হয়েছে। বীজের মাধ্যমে নার্সারি চারা তৈরি করা হয়। বীজ আনা হয়েছে বেঙ্গালুরু থেকে। উদ্যান ও বনবিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে, চন্দন গাছ সাধারণত সাত থেকে ২০-২৫ বছর বয়সের ওপর নির্ভর করে দাম পায়। যেখানে বাজারে এক কেজি সাদা চন্দনের দাম চার থেকে ১৫ হাজার টাকা, সেখানে লাল চন্দন বিক্রি হয় ৫ হাজার টাকায়।
আরও পড়ুনঃ বছরে তিনবার চাষ! নেই পচার টেনশন, মাস্কমেলন চাষ দেখাচ্ছে লাভের দিশা