কৃষিজাগরন ডেস্কঃ খরিফ ফসল কাটা হয়েছে। কৃষকরা তাদের ফসল বিক্রি করছেন মান্ডি ও বাজারে। রাজ্য সরকারও এমএসপিতে ফসল সংগ্রহ করছে। খরিফের পর এখন রবিশস্য বপনের সময় এসেছে। উত্তরপ্রদেশের কৃষি দফতরের আধিকারিকরা বলছেন,এই আবহাওয়া গম বপনের জন্য খুবই অনুকূল। কৃষকদের বপন করা উচিত। এতে কৃষকরা বাম্পার ফলন পাবেন। কৃষকরাও গমের বীজ কিনতে বাজারে যাচ্ছেন। বিপুল সংখ্যক কৃষক ভর্তুকিতে গম কিনতে ব্লকে যাচ্ছেন।
গম বপনের দিকেও নজর রাখছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। উত্তরপ্রদেশের কৃষিবিদ ডক্টর বিবেক রাজ বলেন, কৃষকরা বীজ, সার এবং বীজ বপনের ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত। অনেক বছর পর নভেম্বরে গম বপনের জন্য এমন আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এটি প্রথম দিকের গম ফসলের জন্য উপযুক্ত মৌসুম। কৃষকরা যেন গম বপনে দেরি না করে।
আরও পড়ুনঃ WB কৃষকবন্ধু স্কিম 2022: অনলাইন ফর্ম, সুবিধা
যা গমের বীজে পাকে। এটি ২৩ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সবচেয়ে ভাল বৃদ্ধি পায়। এই তাপমাত্রায় গম সঠিকভাবে তার শিকড় জমা করে। আগামী দিনে দ্রুত তাপমাত্রা কমবে। এ কারণে গমের শিকড় ঠিকমতো জমাট বাঁধতে পারবে না। ফসল শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বেশি থাকবে। উত্তরপ্রদেশে, হাপুর, মিরাট, আমরোহা, বুলন্দশহর, মিরাট, সাহারানপুর, গাজিয়াবাদ, গৌতম বুদ্ধ নগর, কানপুর, বেরেলি, মোরাদাবাদ সহ অন্যান্য জেলাগুলিতে গম উৎপাদিত হয়।এমতাবস্থায় সব জেলায় গম বপন করা যেতে পারে। কৃষকরা এখন ভালো ফলন পেতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার,জানুন আবেদন পদ্ধতি
আমরোহায় ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে গম বপন করা হবে।শুধু ইউপির আমরোহাতেই ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে গম বপন করা হবে। এখানে কৃষকরা গম বপনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। কর্মকর্তারা বলছেন, শীত মৌসুম হওয়ায় দূষণও কম হয়।এ মৌসুম চাষাবাদের জন্য অনুকূল। এ মৌসুমে যেসব কৃষক গম বপন করবেন তারা ভালো ফলন পাবেন। বুলন্দশহরের কৃষক যোগেশ জানান, ৫০ বিঘায় গমের ফসল বোনা হয়। এ সময় ফসল বপনের মৌসুম বলা হচ্ছে সঠিক। ফসল বপনের জন্য গমের বীজও কেনা হয়েছে।